গোঘাট: আরামবাগের পর গোঘাট। ফের বিজেপি নেতার মৃত্যুকে ঘিরে হুগলিতে উত্তেজনা।

হুগলির গোঘাটে বাড়ি থেকে উদ্ধার বিজেপির যুব মোর্চার নেতার ঝুলন্ত দেহ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল।

স্বাধীনতা দিবসের দিন খানাকুলের নতিবপুরে বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে এবার বিজেপির যুব মোর্চা নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু! ফের জড়াল রাজনীতি।

রবিবার হুগলির গোঘাটের নারায়ণপুরে, বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিজেপির যুব মোর্চা নেতা, ২৫ বছরের সৌভিক মুখোপাধ্যায়ের ঝুলন্ত দেহ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৬ বছরের এক নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। যদিও এনিয়ে মৃতের পরিবারের কেউ কথা বলতে না চাইলেও, তৃণমূলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি বিমান ঘোষ বলেছেন, “এটা তৃণমূলের ব্যাপার। পিছনে মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করিয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে।”

বিজেপির এই অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূল নেতা ও গোঘাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পাল বলছেন, “কোনও মৃত্যুই কাম্য নয়, তবে এটা নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়।”

গোঘাটের মতো আরামবাগ মহকুমার মধ্যে পড়ে খানাকুলও। দুই এলাকার মধ্যে দূরত্ব ৩৪ কিলোমিটার। সেই খানাকুলের নতিবপুরে, গত ১৫ অগাস্ট জাতীয় পতাকা তোলা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। খুন হন স্থানীয় বিজেপি নেতা সুদর্শন প্রামাণিক। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও তুঙ্গে রাজনীতি।