সোমনাথ মিত্র, সিঙ্গুর: দোরগোড়ায় দুর্গাপুজো।পুজো মানেই...পেটপুজো,হরেকরকম খাওয়া-দাওয়া।আর খাওয়া মানে তো বাঙালি পাতে আলু মাস্ট।গত কয়েক মাস আলুর দাম শুনলেই ছ্যাঁকা লাগছিল মধ্যবিত্তের। তবে পুজোর আগে স্বস্তি ফিরিয়ে কমছে দাম।

পাইকারি বাজারে যে জ্যোতি আলুর দাম ছিল ২৯-৩০ টাকা  কেজি, তা এখন  ২৭ টাকা কেজি।

চন্দ্রমুখী ছিল ৩১-৩২ টাকা কেজি, এখন তা পাইকারি বাজারে মিলচে ২৯ টাকায়।

পাইকারি বাজারের পাশাপাশি, খুচরো বাজারেও কমেছে আলুর দাম।

জ্যোতি আলুর দাম আগে ছিল ৩৩-৩৫ টাকা কেজি, এখন ৩১-৩২ টাকা, চন্দ্রমুখী ছিল ৩৭-৪০ টাকা প্রতি কেজি, এখন ৩৫-৩৮ টাকা।

খুচরো বাজারে আলুর দাম কমায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে মধ্যবিত্ত। ক্রেতাদের আশা, দাম আরও কমবে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদার তুলনায় জোগান বাড়ায় কমছে আলুর দাম।

রতনপুরের আলু ব‍্যবসায়ী সমিতির  সম্পাদক প্রহ্লাদ মন্ডল বলেছেন,আলুর দাম কমতে শুরু করেছে। এবং আগামী দিনে দাম আরো কমবে।  কারন আলু প্রচুর মজুত আছে, তা খাওয়ার পরেও বেচে যাবে। তাছাড়া ভিন রাজ‍্যে আলুর চাহিদা অনেক কমে গেছে।

প্রগতিশীল আলু ব‍্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ‍্যায় বলেছেন,আলুর দাম বাড়া- কমা নির্ভর করে চাহিদা যোগানের উপর। এ রাজ‍্যে চাষীরা বিবিধ কারনে আলু হিমঘর থেকে বার করেছেন , ফলে বাজারে চাহিদার তুলনায় যোগান বেড়েছে। তাই দাম কমছে। এখানে রাজ‍্যের ৪৬৫ টা হিমঘরে প্রায় ১৯ লক্ষ মেট্রিক টন আলু আছে যা দিয়ে আমাদের ভালো ভাবে চলে যাবে।

আড়তদারদের দাবি, গত ১২ দিনে আলুর দাম পাইকারি বাজারে বস্তা পিছু ১০০ টাকারও বেশি কমেছে। তাঁদের আশা, পুজোর আগে দাম আরও  কমবে।