সুকান্ত দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গতমাসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, দরিদ্র সনাতনী যে ব্রাহ্মণরা পুজো করেন, তাঁদের অক্টোবর মাস থেকে ১ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা দেবে রাজ্য সরকার। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণের মতো পুরোহিত ভাতার তালিকা নিয়েও অভিযোগ উঠল অসঙ্গতির। অভিযোগ, তালিকায় পুরোহিতের জায়গায় উঠেছে মুদির দোকানের মালিকের নামও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর মজিলপুর পুর এলাকায় ভাতা দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে পুরোহিতদের নামের তালিকা। সেই তালিকা নিয়েই উঠেছে অসঙ্গতির অভিযোগ।
জয়নগরের বাসিন্দা পুরোহিত দিলীপ ভট্টাচার্য বলেছেন, আমি ৩৪ বছর পুজো করছি। বংশ পরম্পরায় পুজো করছি। আমার নাম নেই। আমার জায়গায় ওই মন্দিরের পুরোহিত হিসেবে যাঁর নাম আছে তিনি মুদিখানার দোকানদার।
অন্য এক পুরোহিত সুজয় ভট্টাচার্যর অভিযোগ, তালিকায় আমার নাম নেই। আমি সংস্কৃত স্কুল থেকে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত পুরোহিত। শুনেছি, তালিকা হয়েছে। কিন্তু আমার নাম তালিকায় নেই।
কংগ্রেস পরিচালিত জয়নগর মজিলপুর পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যানের অভিযোগ, অনেক যোগ্য পুরোহিতের নাম নেই তালিকায়।
গরমিলের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস । তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক ও বারুইপুরের মহকুমাশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন।
পুরোহিত ভাতা দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। এবার তালিকায় অসঙ্গতির অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।