সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: ভদ্রকালীতে একটি আবাসনের বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার মহিলার মৃতদেহ। মৃতের নাম ঝুমা বর্ধন(৪৫)। তিনি ফ্লাটে একাই থাকতেন বলে জানিয়েছেন আবাসনের বাসিন্দারা। গত কয়েক দিন ধরে তাকে দেখতে পাননি অন্য বাসিন্দারা। এক আবাসিক জানান,আজ দিনের বেলা থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। দরজা ধাক্কা দিলে খোলে না। সন্ধেয় গন্ধ বাড়তে থাকে। খবর দেওয়া হয় উত্তরপাড়া থানায়।পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের অনুমান কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে মহিলার। আবাসিকরা জানিয়েছেন মহিলা কারো সাথে খুব একটা মিশতেন না।শেয়ারবাজারে কাজ করতেন। সম্ভবত অসুস্থ ছিলেন। পুলিশ মৃতদেহ শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। 


একই দিনে, অন্য একটি ঘটনায় কান্দি থানার অন্তর্গত গাঁতলা গ্রামে সকাল আটটার সময় মহিলার বাবার বাড়িতে ওই মহিলা এবং তার দুই শিশু কন্যা ঘরের মধ্যে শুয়েছিল। সে সময় আগুনে পুড়ে তাঁদের মৃত্যু হয়। পরিবার সুত্রে জানা গেছে গাঁতলা গ্রামের দয়াল ঘোষের মেয়ে লক্ষ্মী ঘোষের গত পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল, নবগ্রাম থানার অন্তর্গত ঘোষপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বীরবল ঘোষের সঙ্গে। গত দু বছর আগে শ্বশুর বাড়ির পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্য, বিবাদের কারণে লক্ষী ঘোষ দুই মেয়েকে নিয়ে পিতার বাড়িতে থাকত। মাঝে মধ্যে শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সেভাবে মিমাংসা না হওয়ার ফলে দুই মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তা মধ্যেই দিন কাটাতেন লক্ষ্মী ঘোষ।
     প্রতক্ষদর্শী বৃন্দাবন সাহা জানান আজ সকাল আটটা নাগাদ বাড়িতে কেউ ছিল না, সেই সময় বাড়িতে ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখে পাড়া প্রতিবেশীর চিৎকার শুনে আমরা কয়েকজন মিলে এসে দেখি দরজা লাগানো, দরজা ভেঙে দেখি লক্ষ্মী ঘোষ (২২) ও তাঁর দুই মেয়ে আগুনে পুড়ে মরে পড়ে আছে। বড়ো মেয়ে চাঁদনি ঘোষ (৫), ছোট্ট মেয়ে ইতু ঘোষ (৩) এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছাড়া। ঘটনাস্থলে কান্দি থানার পুলিশ এসে মৃত দেহ উদ্ধার করে, ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।