বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা, কোভিড-বিধি মেনে ভিড় নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ ব্যবস্থা, ঢুকতে দেওয়া হবে না কোনও হকারকে

২৩৪ দিন পর বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। কোভিড-গাইডলাইন মেনে রেলের তরফে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, রেলের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ভিড় নিয়ন্ত্রণ।

Continues below advertisement
সমীরণ পাল, সত্যজিত্‍ বৈদ্য ও হিন্দোল দে, কলকাতা:  ২৩৪ দিন পর  বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। কোভিড-গাইডলাইন মেনে রেলের তরফে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, রেলের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ভিড় নিয়ন্ত্রণ। মেট্রোর মতো লোকাল ট্রেনের স্টেশনে ঢোকা এবং বেরনোর রাস্তা নির্দিষ্ট নয়। তাই যাত্রীরা যাতে যেখান সেখান দিয়ে স্টেশনে ঢুকতে না পারেন, সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অনেকে বলছেন, শিয়ালদা কিংবা হাওড়ার মতো প্রান্তিক স্টেশনে যাত্রীদের ঢোকা-বেরনো কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কিন্তু, ছোট-মাঝারি স্টেশনে তা কীভাবে হবে? রেল জানিয়েছে, লোকাল ট্রেন চালুর প্রথম ধাপে ট্রেনে বা স্টেশনে কোনও হকারকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সোমবার শিয়ালদা মেইন শাখার ব্যারাকপুর, নৈহাটি ও কল্যাণী স্টেশনে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন শিয়ালদা ডিভিশনের ম্যানেজার। সূত্রের খবর, আপাতত ঠিক হয়েছে, স্টেশনের বাইরে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করবে রাজ্য পুলিশ। আর স্টেশনের ভিতর ও ট্রেনের মধ্যে সেই দায়িত্ব রেল পুলিশের। সোমবার হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান-সহ ৯ জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রসচিব। এছাড়াও রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে এদিন বৈঠকে বসেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। সূত্রের দাবি, রেলের তরফে পরিবহণ দফতরকে লোকাল ট্রেনের নতুন সময়সূচি দেওয়া হয়। স্টেশন থেকে যাতে গণপরিবহণ ব্যবস্থা সচল থাকে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ জোর দেওয়া হয় হাওড়া থেকে ফেরি সার্ভিসের বিষয়ে। মঙ্গলবারও এনিয়ে আরও একটি বৈঠক হবে।
Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola