কেশপুর: শনিবার সকালে ভোটগ্রহণ (Loksabha Elections 2024) শুরু হওয়ার পর থেকেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঘাটাল (Ghatal) লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কেশপুর (Keshpur) এলাকা। সেখানকার অনেক বুথের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়ে ওই এলাকাগুলিতে ফের পুনর্নির্বাচনের (re election) দাবি জানালেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (BJP Candidate Hiranmoy Chattopadhyaya)। ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণের শেষ লগ্নে এসে এই দাবি করেন তিনি। এপ্রসঙ্গে জানান, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে দুপুর ৩টে পর্যন্ত মোট ৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। না হলে ভোটের হার আরও বেশি হত। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেব বা দীপক অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করে কেশপুরে ফের পুনর্নির্বাচন দাবি করলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার সকাল থেকে বারবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঘাটাল লোকসভার অন্তর্গত কেশপুর এলাকা। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা,কর্মী ও সমর্থকদের দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানোর ফলে কেশপুর বিধানসভা এলাকাতে বহুক্ষণ ধরে আটকে থাকেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়। যার জেরে একাধিকবার পুলিশের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। তৃণমূলের বিক্ষোভের জেরে দেব ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতেও শোনা যায়।
আজ সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরে কেশপুরে বিজেপির পোলিং এজেন্টদের বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর পান হিরণ। এরপরই সেখানে পৌঁছে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেই তাঁকে ঘিরে ঘরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। তাঁর কনভয় আটকে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি "গো ব্যাক! গো ব্যাক হিরণ" স্লোগানও l তোলা হয়। এর ফলে রেগে গিয়ে কেশপুরকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় "পাকিস্তানে" রূপান্তরিত করেছেন বলেই অভিযোগ করেন তিনি।
যদিও স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি, হিরণ এলাকায় আসার পর থেকেই গণ্ডগোল শুরু হয়। তিনি এখানে এসে সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। তাঁর উসকানিতেই শুক্রবার রাতে বিভিন্ন তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছে বিজেপি। তার জন্য তাঁকে আজ এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। আসলে ভোট হারবেন বুঝতে পেরেই গণ্ডগোল পাকিয়ে নির্বাচন আটকানোর চেষ্টা করছেন তিনি।
অন্যদিকে হিরণ বলেন, "আজকে নির্বাচনের নামে প্রহসন হল। আপনারা তো দেখেছেন যে সকাল ৯-১০টা নাগাদ গিয়ে বিভিন্ন বুথে পোলিং এজেন্ট বসিয়েছে আমি। সাংবাদিকদের উপরও লুঙ্গি বাহিনী আক্রমণ চালিয়েছে। তৃণমূলের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য সবরকমের চেষ্টা হয়েছে এখানে। পুরো বিষয়টিই আমি আমার দল ও কমিশনকে জানিয়েছি। আজকে সবাই এখানকার তৃণমূল প্রার্থীর মুখ ও মুখোশ দেখে নিয়েছেন। লুঙ্গি বাহিনীকে সাংবাদিকদের মারধর করার জন্য উসকানি দিচ্ছেন। উনি আমার কোয়ালিফিকেশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একজন উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা মানুষ কী করে পিএইচডির মানে বুঝবেন? "কেশপুরে ভোট কোথায় হল? তৃণমূল তো সব তো লুঠ করে নিল! কেশপুরে পুনর্নির্বাচন চাই। এই দাবি নিয়ে কমিশনের কাছেও যাচ্ছি। পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশন ম্যাচ ফিক্সিং করেছে।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Loksabha Election 2024: সপ্তম দফা ভোটের আগে দু'দফায় রাজ্যে প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী