ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: এসএসকেএমে ভর্তি হলেন মুকুল রায়। উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর রুমে ভর্তি রয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুকুল রায়ের অসুস্থতা সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন বিভাগের চিকিত্সকদের নিয়ে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিম গঠন করা হয়েছে। বিধায়ককে পরীক্ষা করা হচ্ছে। শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের তারতম্য ঘটেছে নাকি, স্নায়ুঘটিত কোনও সমস্যা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখবেন চিকিৎসকরা।


কিছুদিন আগেই মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায় প্রয়াত হয়েছেন। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মুকুল রায়ের স্ত্রীকে ১১ মে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভেন্টিলেশনে থাকার পর ২ সপ্তাহ ছিলেন একমো সাপোর্টে। এরপর ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় চেন্নাই। তাঁঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন ছেলে শুভ্রাংশু রায়। ৬ জুলাই মুকুল রায়ের স্ত্রী প্রয়াত হন। 


মুকুল রায়ের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁকে দেখতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুলকে ফোন করে তাঁর স্ত্রীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এর কিছুদিন পরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরেন মুকুল ও শুভ্রাংশু। এরপর মুকুল-জায়াকে চিকিৎসার জন্য চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি প্রয়াত হন।


সম্প্রতি মুকুল অসংলগ্ন কথা বলছিলেন। গত মাসে তিনি বলেন, বিজেপির টিকিটে দাঁড়ালে কৃষ্ণনগরে জিতবেন! আবার পরক্ষণেই বলেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন! এই ধরনের কথাবার্তা অসুস্থতার লক্ষণ না কি রাজনৈতিক কৌশল, সেটা নিয়ে  জল্পনা শুরু হয়। তবে অসুস্থ হয়েই হাসপাতালে ভর্তি হলেন মুকুল।


মুকুল বর্তমানে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান। কিন্তু, বিজেপির প্রশ্ন, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরও তিনি কি করে এই পদ পেতে পারেন? মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে ইতিমধ্যেই স্পিকারের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিচ্ছে। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে বিধানসভার শুনানিতে হাজির হননি মুকুল। অসুস্থতার কারণে এক মাস সময় চেয়ে, অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠান তিনি।