কলকাতা: তিহাড় জেল থেকে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ফেরার পরে আক্রমণাত্মক কথাবার্তা বলতে শোনা যাচ্ছিল বীরভূম (Birbhum) জেলায় তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য ও নানুরের নেতা কাজল শেখকে (TMC Leader Kajal Sheikh)। বুধবার একটি দলীয় মিটিংয়ে তিনি সব খেলা খেলতে জানেন বলে দাবি করার পাশাপাশি চুড়ি পরে বসে নেই বলেও উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু, তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সুর বদল হল কাজল শেখের! অনুব্রত মণ্ডলকে নিজের অভিভাবক বলে উল্লেখ করে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিলেন তিনি। 


আরও পড়ুন: Calcutta High Court: 'থ্রেট কালচার' এবং 'উত্তরবঙ্গ লবি'র প্রভাব, কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের


গরু পাচার মামলা জামিন পেয়ে তিহাড় জেল থেকে নিজের গড়ে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর ঘরে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে বীরভূম জেলার বিভিন্ন জায়গায় সামনে আসতে শুরু করেছেন তাঁর একসময়ের অনুগামীরাও। যার মধ্য়ে রয়েছেন নানুরের কেরিম খানও। আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার একটি দলীয় বৈঠকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য় কাজল শেখ ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বলেন, "আমি পঞ্চায়েতের পার্সেন্টেজ খেতে আসিনি। আমি নদীর বালি তুলে খেতে আসিনি। লোকের জায়গা জোর করে দখল করতে আসিনি আমি। যদি বাঁকা পথে চল, সোজা পথে আনার রাস্তা আমাদের জানা আছে। পাঙ্গা নিতে এস না, আমি চুড়ি পরে বসে নেই। অনেক ঘাটের এই জল পেটে আছে। আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমি সব খেলা খেলতে জানি। দাবা খেলাও খেলতে জানি, হাডুডুও খেলতে জানি। খেলা হবে গান শুনিয়ে লাভ হবে না বন্ধু।" 


কাজল শেখের এই মন্তব্যের পরেই ফের বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসর দ্বন্দ্ব শুরু হবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয় রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। যদিও কাজল শেখের মন্তব্যের পরেও ঠান্ডা মাথায় জবাব দিতে দেখা গেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। সবাইকে নিয়ে দলের কাজ করার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এরপরই সুর বদল হতে দেখা গেল কাজল শেখের। তাঁকে বলতে শোনা গেল, "অনুব্রত মণ্ডল আমার অভিভাবক। দল ও তাঁর নির্দেশ মেনেই কাজ করব।"


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Kolkata Weather: সকাল থেকে মেঘলা আকাশ, আজও কি বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা?