পশ্চিম মেদিনীপুর: আধার  কার্ড নিয়ে বেআইনি ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থেকে। বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পেতে অতি আবশ্যক আধার কার্ড সরকারি নিয়মে বিনামূল্যেই পাওয়ার কথা। কিন্তু সেটা পেতেই গ্রাহকদের দিতে হচ্ছিল ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা! রীতিমতো অফিস খুলে প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে  অবশেষে পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। টাকার বিনিময়ে আধার কার্ড দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের জালে ধরা পড়ল এক মহিলা-সহ পাঁচজন।


চন্দ্রকোনা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইলামবাজারের একটি সেন্টারে অবৈধভাবে চলছিল আধার কার্ডের কারবার। নতুন কার্ড বানানো অথবা সংশোধন, সব ক্ষেত্রেই টাকা নেওয়া হত বলে অভিযোগ। বিভিন্ন গ্রাহক বিনামূল্যেই আধার কার্ড পাওয়া যায়, এটা জানার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। শান্তা আলি নামে এক গ্রাহকের দাবি, নতুন আধার কার্ড করিয়েছি, সাড়ে ৫০০ টাকা নিয়েছে। এখন শুনছি টাকা লাগে না!

পুলিশ সূত্রে দাবি, এই চক্রে যুক্ত  অভিযুক্তরা কেউ পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা নন। এমনকী ধরা পড়ে যাওয়ার পর এক মহিলা নিজেকে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির বিধায়কের স্ত্রী বলেও ভুয়ো পরিচয় দেন।  যদিও তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা, খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।