জয়দীপ হালদার, এবিপি আনন্দ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: উমপুনে ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরিতে স্বজনপোষণ, নিজের পছন্দের লোককে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া।এমন অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। এবার একেবারে কান ধরে, সেই অভিযোগ মেনে নিলেন তিনি।

সবার সামনেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে ভৎর্সনা করলেন মথুরাপুর ২ ব্লকের বিডিও। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার তৃণমূলের।



ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণে স্বজনপোষণের অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ হয়েছে। পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুরের ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির নন্দকুমারপুরেও একই অভিযোগ ওঠে। মঙ্গলবার সকালে দুর্নীতির অভিযোগে নন্দকুমারপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য স্বপন ঘাটিকে ঘেরাও করে রাখেন গ্রামবাসীদের একাংশ। রায়দিঘি থানার পুলিশকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও। বিডিও ও গ্রামবাসীদের সামনে কান ধরে, দোষ কবুল করেন পঞ্চায়েত সদস্য।

তিনি বলেন, ঝড়ের  ক্ষতিপূরণের তালিকায় কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে, এরজন্য ক্ষমা চাইছি।



পুলিশ আসার আগে পঞ্চায়েত সদস্যর বাইক ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধরা।

প্রকাশ্যেই তৃণমূলের সদস্যকে ভৎসনা করেন বিডিও।

যাদের প্রকৃত ক্ষতি হয়েছে তারাই আর্থিক সাহায্য পাবেন বলে আশ্বাস দেন বিডিও।

এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। স্থানীয় এক বিজেপি নেতার অভিযোগ,শুধু এই ঘটনা নয়, রায়দিঘির অনেক জায়গায় মানুষ ঘর দূরের কথা, সামান্য ত্রিপলও পায়নি, তৃণমূল নেতাদের মদতে এসব হচ্ছে।

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও।

ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল।

এর আগে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছিলেন যে, ঘটনার দলীয় স্তরে তদন্ত হবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।