জলপাইগুড়ি:প্রথমে এসএফআই নেত্রী ঐশী ঘোষকে সংবর্ধনা জানানো। এরপর কংগ্রেসের জেলা সভাপতির বাড়ি গিয়ে মিষ্টিমুখ করানো ও কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে চা পান। আর এতেই দলের অন্দরে সমালোচনার মুখে জলপাইগুড়ির জেলা তৃণমূল মুখপাত্র। সমালোচনা করেছে সিপিএম ও বিজেপিও। তবে তৃণমূল নেতার পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস।

কখনও সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের সভায় গিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া।কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়।আর এজন্যই ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি তথা তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ।
গত মঙ্গলবার তিনি হাজির হয়েছিলেন সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর মঞ্চে। এসএফআই নেত্রী ঐশী ঘোষকে সংবর্ধনা জানান তিনি।

এরপর পয়লা জানুয়ারি জেলা কংগ্রেসের সভাপতির বাড়ি যান এই তৃণমূল নেতা। কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে চায়ের কাপে আড্ড দিতে দেখা যায় তাঁকে।
আর এই ছবি সামনে আসতেই অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
জলপাইগুড়ি তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যাণী বলেছেন, উনি এখনও আমাদের দলে আছেন এবং ওনাকে সেনসার করে বলা হয়েছে এই ধরনের ঘটনা দলে থেকে করতে পারবেন না, দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে।

দুলাল দেবনাথ অবশ্য বলছেন, এটাই জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই শেখা, আমি অতিরিক্ত প্রচার পাওয়ার জন্য কিছু করিনি, এটা বিবেক ও অন্তর থেকে করেছি। নেত্রীর সৌজন্যের রাজনীতির শিক্ষাই পালন করি।

কংগ্রেস অবশ্য তৃণমূলের নেতার আচরণের মধ্যে সৌজন্য দেখতে পাচ্ছে।জলপাইগুড়ির কংগ্রেস নেতা অমিত ভট্টাচার্য বলেছেন, এটা আমি কোনও রাজনৌতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছি না। কারণ, উনি আমাদের বন্ধু মানুষ। দুলাল দেবনাথ যে রাজনৈতিক আচরণ দেখিয়েছেন সেটা প্রশংসনীয়।

যদিও উল্টো সুর বিজেপি ও সিপিএমের গলায়।সিপিএম জেলা সম্পাদক সলিল আচার্যর কটাক্ষ, প্রচারের আকাঙ্খা থেকেই এই কাজ।
জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেছেন, বিজেপির ভয়ে চোরে চোরে মাসতুতো ভাই এক হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় এলে সব ধান্দাবাজি ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল নেতার এই আচরণ নেহাতই সৌজন্য? না এর নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি?তার উত্তর দেবে সময়ই।