অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের (Pashchim Medinipur) মোহনপুরে (Mohanpur) নতুন ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ তৃণমূলেরই (TMC) একাংশের। আগে ব্লক সভাপতি থাকাকালীন দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াননি মানিক মাইতি (Manik Maity)। অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। গুরুত্ব দিতে নারাজ মানিক মাইতি। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা (Political Tussle)।


তৃণমূল শিবিরে ‘দ্বন্দ্ব’


'বিজেপির আঁতাঁতকারী মানিক মাইতিকে মানছি না মানব না', বিক্ষোভে উত্তাল তৃণমূল কর্মীরা, শোনা গেল এমনই স্লোগান। তৃণমূলের নতুন ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দলেরই একাংশের। আর তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও।


সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের সংগঠনে রদবদল হয়েছে। আর এর মধ্যে প্রকাশ্যে চলে এল শাসকশিবিরের অন্দরের বিরোধ। মোহনপুর ব্লকের সভাপতি হিসেবে পুনরায় মানিক মাইতিকে দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।


বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আগে ব্লক সভাপতি থাকাকালীন দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াননি মানিক মাইতি। পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরের পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল নেতা ও সহ সভাপতি দিলীপ পাত্র বলেন, 'প্রথমবার যখন ব্লক সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন দলের স্বার্থে আমরা মেনে নিয়েছিলাম। তিনি আসার পরে ব্লক মিটিং করেননি দলের মধ্যে। আমাদের কর্মীরা প্রত্যেকটা অঞ্চলে মার খেল, তাঁদের পাশে তিনি দাঁড়াননি। তাঁর প্রতি আমরা অনাস্থা প্রকাশ করেছিলাম।'


মোহনপুরের তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি মানিক মাইতি, যাঁকে নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত, তিনি কী বলছেন? তাঁর কথায়, 'দলীয় নেতৃত্ব দ্বিতীয়বার ব্লক সভাপতি ঘোষণা করেছেন আমাকে। তাঁরা যে আমার ওপর আস্থা রেখেছেন তার জন্য আমি গর্বিত। ভাইরাল ভিডিও যেটা হয়েছে আমি দেখেছি সেটাকে আমি ইগ্নোর করছি। আমাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বে যাঁরা আছেন তাঁরা এগুলো বিবেচনা করবেন।'


আরও পড়ুন: Alipurduar News: মাছ ধরিতে বেরিয়ে বিপত্তি, ছিপড়া জঙ্গলে হাতির হানায় প্রাণ গেল এক ব্যক্তির, আহত ১


গোটা ঘটনায় শুরু রাজনৈতিক তরজা


এই ঘটনাকে 'তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব', বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। সব মিলিয়ে শাসক দলের অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে তরজা তুঙ্গে। 


অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরেও (East Midnapur) প্রকাশ্যে তৃণমূলের (tmc) অন্দরের মতানৈক্য। পদ হারিয়ে, চোখের জল ফেলে সরকারি গাড়ি ছেড়ে অটোয় বাড়ি ফিরলেন হলদিয়ার বিদায়ী চেয়ারম্যান। শেষবেলায় ক্ষোভ উগরে দেন দলীয় নেতৃত্বের উপর। 


৫ সেপ্টেম্বর, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ও হলদিয়া পুরসভার মেয়াদ ফুরিয়েছে। ৬ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার, রাজ্যের তরফে প্রশাসক বসানো হয়েছে ২ পুরসভায়। পাঁশকুড়ার ক্ষেত্রে তৃণমূলের বিদায়ী চেয়ারম্যানকেই পুর-প্রশাসক করা হয়েছে। কিন্তু, হলদিয়ায় তেমনটা হয়নি। সেখানে প্রশাসক করা হয়েছে মহকুমাশাসককে। 


পদ হারিয়েই মুখ খুলেছেন বিদায়ী চেয়ারম্যান। হলদিয়া পুরসভার (Haldia Municipality)  তৃণমূল নেতা ও বিদায়ী চেয়ারম্যান সুধাংশু মণ্ডলের কথায়, 'গোটা রাজ্যে যেখানে বিদায়ী চেয়ারম্যানরাই পুর প্রশাসক হলেন সেখানে হলদিয়াতে ব্যতিক্রম হল, কেন বুঝতে পারছিনা। জনগনের কাছে ভুল বার্তা গেল। আত্মাভিমানে লেগেছে। আমি অন্তর্মুখী, কলকাতায় সেভাবে আমাকে কেউ চেনেনা। দিদির প্রথম দিনের সঙ্গী।'