ঝাড়গ্রাম: বিজেপিতে যোগদানের পর প্রথমবার জঙ্গলমহলে গিয়ে, ফের তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। সুর চড়িয়ে পাল্টা জবাব দিল তৃণমূলও। বিজেপি যোগদানের পর ঝাড়গ্রামে দলীয় কর্মিসভায় স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন শুভেন্দু অধিকারী। দাবি করলেন ঝাড়গ্রামের সবকটি আসনেই জিতবে বিজেপি। তিনি এসেছেন, শুধু বিজেপির জয়ের মার্জিন বাড়ানোর লক্ষ্যে।
পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেছেন, জঙ্গলমহলে ৩৫ আসনে জয়ের দাবি করছে ওরা। কিন্তু বাস্তবে পাঁচটা আসনও পাবে না।
সোমবার ঝাড়গ্রাম আসার পথে লোধাশুলি থেকে বাইক মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী।তাঁর যাত্রাপথে দু’জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল।প্রথমে গোপীবল্লভপুরে তাঁর গাড়ির সামনে গোব্যাক স্লোগান দেয় তৃণমূল কর্মীরা।
তারপর পুরাতন ঝাড়গ্রামেও তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী।কালো পতাকাও দেখানো হয় তাঁকে। এই বিক্ষোভকে পাত্তা দেননি শুভেন্দু। ঝাড়গ্রামের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেত্রী শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ করেছেন। জানিয়েছেন, এই বিশ্বাসঘাতকারই প্রতিবাদ করেছেন তাঁরা।
ঝাড়গ্রামে বিজেপির কর্মিসভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ জারি রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, কোম্পানি তে পরিণত হয়েছে তৃণমূল। ঝাড়গ্রামে চারটে বিধানসভা আসনেই বিজেপি জিতবে। আমি এসেছি ব্যবধান বাড়াতে। ৫০ হাজরের বেশি ভোটে জিতবে বিজেপি।
শুভেন্দু অধিকারী যখন ঝাড়গ্রাম থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন, তখন পাশের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে তাঁকে নিশানা করে তৃণমূল। রবিবারের দাঁতনের যে রাস্তায় শুভেন্দু রোড শো করেছিলেন, সেখানেই সোমবার পাল্টা মিছিল করে তৃণমূল। অজিত মাইতি বলেছেন, গতকাল বহিরাগতদের নিয়ে মিছিল হয়েছিল। ৩৫ কেন ৫ টাও পাবে না ওরা।
পাল্টা কটাক্ষ করে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপি সহ সভাপতির কটাক্ষ, অজিত মাইতিই তলায় তলায় বিজেপিতে নাম লেখানোর জন্য যোগাযোগ করছেন।
জঙ্গলমহলের ৪০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৩০টিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি।
১০টিতে এগিয়ে ছিল তৃণমূল।
শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের পর, জঙ্গলমহলের সমীকরণ কী হবে? উত্তর মিলবে একুশের ভোটেই।