প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের মামলায় সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতার। নদিয়ার চাপড়ায় বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার বিজয় ঘোষ, অসীমা ঘোষ নামে দু’জন। ১৪ মে বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডলের উপর হামলা হয়। ১৬ মে এনআরএসে মৃত্যু হয় চাপড়ার এই বিজেপি কর্মীর। তাঁকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে এফআইআরে নাম ছিল ধৃত দুই অভিযুক্তের। 


এর আগে আজ নদিয়ার চাপড়ায় নিহত বিজেপি কর্মীর খুনের তদন্তে গিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়েন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। নিহত বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডলের খুনের তদন্তে আজ সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যান সিবিআই অফিসাররা। তল্লাশি চলাকালীন বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় তৃণমূলকর্মীরা। শাসক দলের অভিযোগ, সেনার পোশাক পরা এক বিজেপি কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে তল্লাশি শুরু করেন সিবিআই অফিসাররা। সিবিআই আধিকারিকরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যও করেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এর জেরে গ্রামবাসীরাই ক্ষিপ্ত হয়ে সিবিআই-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। 


গত ১৪ মে নদিয়ার চাপড়ার হৃদয়পুরের বাসিন্দা, ধর্ম মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হন। মারধর করা ছাড়াও কোপানো হয় তাঁকে। এরপর ১৬ মে মারা যান ওই বিজেপি কর্মী। খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনারই তদন্ত করতে শনিবার চাপড়ায় যায় সিবিআই। হৃদয়পুর গ্রাম থেকে তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত বিজয় ঘোষ ও অসীমা ঘোষ নামে দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন গোয়েন্দারা। দীর্ঘ জেরার পর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, খুনের অভিযোগে এফআইআরে নাম রয়েছে ধৃতদের। 


কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। আর এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ঝাঁঝাল আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা জবাব দিয়েছে গেরুয়া শিবিরও।