সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapore) বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Vidyasagar University) এবিভিপি (ABVP)- টিএমসিপি (TMCP) সংঘর্ষ। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে এবিভিপির মিছিল শেষে বাধল ধুন্ধুমার। সংঘর্ষে জখম ২ পক্ষের ১৩ জন সমর্থক। সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এবিভিপির ৮ জন সমর্থককে।


এবিভিপি-টিএমসিপি সংঘর্ষ: পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapore) বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University)  সামনে এবিভিপি-টিএমসিপি সংঘর্ষ। কাঠের বাটাম নিয়ে হামলা। সংঘর্ষে আহত ২ পক্ষেরই বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Vidyasagar University) স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ জাতীয় শিক্ষানীতি চালু হয়েছে। সময় মতো ছাত্র সংসদ নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে বুধবার মিছিলের ডাক দেয় আরএসএসের (RSS) ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। 


বুধবার দুপুর দুটো নাগাদ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং গেটে আসেন এবিভিপির (ABVP) সমর্থকরা। গেট ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে পড়েন তাঁরা। অভিযোগ, তখনই তাঁদের ওপর চড়াও হয় টিএমসিপি (TMCP) সমর্থকরা। শুরু হয়ে যায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ।


'বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য চাই': এবিভিপির (ABVP) রাজ্য সম্পাদক সম্বিৎ ভট্টাচার্যের কথায়, আমাদের একটাই দাবি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য চাই। পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ক্যাম্পাসে যে দাদাগিরি চলছে আজ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনারা তা প্রমাণ পেয়ে গেলেন। 


ঘটনায় আহত হন এবিভিপির ১০ ও টিএমসিপির ৩ জন। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য (Vice Chancellor) নেই প্রায় ২ বছর। ২০২১ সালে অবসর নেন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী । অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হয় সৌমিত্রকুমার চক্রবর্তীকে।


বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এবিভিপির ৮ জন সমর্থককে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অন্য অভিযুক্তদেরও শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ ।


হুলিয়া জারি করল NIA: উল্লেখ্য, মোমিনপুরে হিংসার ঘটনায় ৭ জন পলাতকের বিরুদ্ধে এবার হুলিয়া জারি করল NIA। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে এই ৭ জনের খোঁজ চলছে। পলাতকদের সন্ধান দিতে পারলে, একেক জনের মাথা পিছু ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।সূত্রের খবর, মোমিনপুর হিংসায় ৭ অভিযুক্তের খোঁজে ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদা-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে NIA। তদন্তকারীদের আশঙ্কা, এই ৭ জন অন্য কোনও রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে অথবা বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতবছরের ৮ অক্টোবর, গোষ্ঠী সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে ওঠে মোমিনপুর। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।