বিবৃতিতে মহিলা জানিয়েছেন, তাঁকে তাঁর স্বামী এবং দেওর প্রায়ই মারধোর ও নানা রকম অত্যাচার করতেন। এসবের কারণেই তিনি মণিভানন এলাকায় এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। মহিলার শ্বশুরবাড়ির তরফের কোনও বিবৃতি এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, বিহারের দুই ব্যক্তির সাহায্য নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সটি আনিয়ে তাতে করে পালিয়ে যান মহিলা। মহিলার বন্ধু এই বিশেষ প্ল্যানটি করে দেন পালানোর জন্য। পুলিশের বক্তব্য, মহিলা নিজের ইচ্ছাতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান পারিবারিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে। এই ব্যাপারে তাঁর বয়ান থানায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
থানায় এসে ওই মহিলা পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে যখন আসেন তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবীও। পুলিশও বুঝতে পারে যে নিছক কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে নয়, আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েই মহিলা থানায় এসেছেন। যে সময়টা তিনি আত্মগোপন করে ছিলেন, সে সময় তিনি আইনি ব্যবস্থাগুলি নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছিলেন বন্ধুর সাহায্য নিয়ে। মহিলা পুলিশকে বলেন, দিনের পর দিন ধরে তাঁর স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য তাঁর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিলেন। তাই এভাবে পালিয়ে গিয়ে আইনি সহায়তায় ফিরে আসা ছাড়া তাঁর আর কোনও উপায় ছিল না।