বেঙ্গালুরু: দিনের পর দিন এক মহিলাকে হুমকি দিয়ে এক কোটি ৩০ লক্ষ টাকা আদায় করলেন তাঁরই প্রাক্তন প্রেমিকের বান্ধবী। কখনও মর্ফড ছবি পাঠিয়ে, কোনও প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে ভিডিও বা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের হুমকি দিয়ে যেতেন ওই মহিলার প্রাক্তন প্রেমিকের এখনকার বান্ধবী। ঘটনার কথা জানার পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলার স্বামী। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
১১ বছর আগে বেঙ্গালুরুর এক ব্যবসায়ীকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেন শালিনী( নাম পরিবর্তিত)। বিয়ের পর থেকে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা শালিনী। শহরে তাঁরা একটি সুপারমার্কেট চালান। তাঁদের একটি আট বছরের ছেলে রয়েছে। সংসার ও ব্যবসা নিয়ে ডুবে থাকা শালিনীর জীবনে হঠাৎ ফিরে আসে তাঁর কলেজ জীবনের প্রেমিক মহেশ। এত বছর তাঁদের মধ্যে কোনও যোগাযোগ না থাকলেও জুলাই মাসে একদিন শালিনীকে হোয়াটসঅ্যাপ করেন মহেশ। তার ঠিক দুদিন পরে এক মহিলার কাছ থেকে একটি টেক্সট মেসেজ পান শালিনী। ওই মহিলা নিজেকে অনুশ্রী বলে পরিচয় দিয়ে জানান, তিনি মহেশের বর্তমান বান্ধবী। এরপর ধীরে ধীরে তাঁরা তিনজনেই বন্ধু হয়ে ওঠেন। বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকার বাসিন্দা শালিনীর কাছে কিছু ছবি চেয়ে পাঠান অনু্শ্রী। শালিনীও সাদা মনে তা পাঠিয়ে দেন। কিন্তু এরপর থেকে শুরু হয় হুমকি দেওয়া।
মহেশের সঙ্গে শালিনীর কিছু মর্ফড ছবি পাঠাতে শুরু করেন অনুশ্রী। টাকা দাবি করতে শুরু করেন। টাকা না দিলে মহেশের সঙ্গে শালিনীর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি বা ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেওয়ার হুমকি দিতে শুরু করেন অনুশ্রী। সেই ভয়ে অনুশ্রীর অ্যাকাউন্টে গত দেড় বছরে এক কোটি ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন শালিনী। কিন্তু হুমকি দেওয়া বা ভয় দেখানো বন্ধ হয়নি। সম্প্রতি ফের অনুশ্রী দাবি করেন, এই ধরনের কিছু ছবি পুলিশের ডেটা বেসে রয়েছে। সেখান থেকে এই ধরনের কিছু ছবি মুছে ফেলার জন্য ফের টাকা চান অনুশ্রী।এর পরেই অনুশ্রীর ফোন নম্বরটি ব্লক করে দেন শালিনী।

শালিনীর স্বামীর নজরে পড়ে গত দেড় বছরে এক কোটি ৩০ লক্ষ টাকা একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। এরপরই পুরো ব্যাপারটি জানতে পারেন তিনি। স্বামীর পরামর্শের ভিত্তিতে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন শালিনী। মামলা রুজু হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। অভিযুক্ত মহেশ ও অনুশ্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।