পটনা : NDA-এর জয়জয়কার। বিহারে বিপুল জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পথে নীতীশ কুমার নেতৃত্বাধীন শিবির। অন্যদিকে, ২০১০ সালের পর সবথেকে খারাপ ফলের দিকে বিরোধী দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা RJD। তবে, একটা কারণে অবশ্য তেজস্বী যাদবরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেন। তা হল, সর্বাধিক ভোট প্রাপ্তি। গণনার প্রায় ৬ ঘণ্টা পর, তেজস্বী যাদব নেতৃত্বাধীন দল তাদের বিরোধী পক্ষ বিজেপি ও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে। ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় ১৪৩ আসনে লড়াই করেছে আরজেডি। এ পর্যন্ত তাদের শতাংশের নিরিখে ভোট প্রাপ্তি ২২.৮৪ শতাংশ। যা বিজেপির থেকে ১.৮৬ শতাংশ এবং জেডিইউ-র থেকে ৩.৯৭ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালের নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হিসেবে শেষ করা আরজেডি এবার মাত্র ২৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ২০১০ সালের পর বিহার নির্বাচনে আরজেডির দ্বিতীয় সবচেয়ে খারাপ ফলাফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেবার তারা মাত্র ২২টি আসন পেয়েছিল। এমনকী বিরোধী মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবও বর্তমানে তাঁর রাঘোপুর আসন থেকে পিছিয়ে আছেন।
পারিবারিক শক্তঘাঁটি রাঘোপুর কেন্দ্রেই পিছিয়ে বিরোধী শিবিরের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ও RJD নেতা তেজস্বী যাদব। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করেই ভোটে নেমেছে মহাগঠবন্ধন। একটা সময় বিজেপি প্রার্থীর থেকে প্রায় ১৩ হাজার ভোটে পিছিয়ে পড়েছিলেন। যদিও, সেই ব্যবধান কমিয়ে আনেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে ভোটের সম্পূর্ণ ফলাফলের দিকে এখন নজর বিহারবাসীর। লালু-পুত্রই যদি শেষমেশ জিততে না পারেন তাহলে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন I.N.D.I.A ব্লকের সমীকরণে তা বড় ধাক্কা হতে পারে।
এখন পর্যন্ত কোথায় দাঁড়িয়ে বিহারে ভোটের ফলাফল ?
২০১৫-র নির্বাচনে ১৫৭টি আসনে লড়াই করে ৫৭টি-তে জিতেছিল বিজেপি। ২০২০ সালে ৭২টি আসনে জিতে জোটসঙ্গী নীতীশ কুমারের দলকে টপকে যায় তারা। আর এবার গতবারের মার্জিন আরও বাড়িয়ে এবার ৯০-এ পৌঁছে গেল ভারতীয় জনতা পার্টি। দুপুর তিনটের ট্রেন্ড বলছে, বিজেপি এগিয়ে ৯২টি আসনে, আর নীতীশের দল ৮০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে কাজে এল না কাজে এল না বিহারে রাহুল গান্ধীর 'ভোটার অধিকার যাত্রা'। গতবারের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল থেকে নীচে নেমে গেল RJD। সেই সঙ্গে ভরাডুবি হল কংগ্রেসেরও। ২০১৫-র বিধানসভা নির্বাচনে ৪১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২৭ আসনে জয় পেয়েছিল কংগ্রেস। ৫ বছর পর, ৭০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কমে হয় ১৯। আর এবার ৬১টি আসনে লড়াই করে মাত্র ৪টি আসনে জয় পেয়েছে তারা। আর এই সব কিছুর পিছনেই নীতীশ ও মোদির যৌথ ম্যাজিককেই ক্রেডিট দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।