নয়াদিল্লি: আজ বিহারে নতুন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। দশম বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নীতীশ কুমার। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন সম্রাট চৌধুরি ও বিজয় সিন্হা। শপথগ্রহণের সাক্ষী থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। থাকবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। নীতীশ কুমারের শপথগ্রহণ উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে পাটনা। গান্ধী ময়দানে সকাল ১১.৩০টায় হবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন, ' ১ কোটি ১৫ লক্ষ মতো বাদ যেতে পারে..' ! SIR আবহে বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর
নীতীশ কুমারের এই ঐতিহাসিক জয়ের নেপথ্য়ে সবচেয়ে বড় ফ্য়াক্টর হল মহিলা ভোটব্য়াঙ্ক! মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। পরিসংখ্যান বলছে, এবার বিহারে পুরুষদের থেকে মহিলাদের ভোট বেশি পড়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, মহিলারা যেভাবে নীতীশ কুমারকে হাত ঢেলে ভোট দিলেন, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ক্ষেত্রেও কি তা হবে? JDU সমর্থকের কথায়, বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমার ছিলেন, আগামী দিনেও থাকবে। মুসলমানরা নজির গড়েছে। নীতীশের চেয়ে ভাল বিহারে কেউ নেই। অনেক বড় কাজ হয়েছে। আল্লা মাথা দেখেই নেতা ঠিক করেন। বিহারের জন্য, বিহারের উন্নতির জন্য নীতীশ কুমারের চেয়ে ভাল আর কেউ নেই।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন নীতীশ কুমারের এই ঐতিহাসিক জয়ের নেপথ্য়ে সবচেয়ে বড় ফ্য়াক্টর হল মহিলা ভোটব্য়াঙ্ক! যা দশকের পর দশক তাঁর সঙ্গে রয়েছে! মহিলাদের ভরসা নীতীশ...নীতীশের ভরসা মহিলা ব্রিগেড! পরিসংখ্যান বলছে, বিহারে পুরুষ ভোটার ৩ কোটি ৯৪ লক্ষ, আর মহিলা ভোটার ৩ কোটি ৫১ লক্ষ। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এবার পুরুষরা যেখানে ৬৩ শতাংশ ভোট দিয়েছে...সেখানে মহিলা ভোট পড়েছে প্রায় ৭২ শতাংশ। আর এখানেই নীতীশের জয়ের এক্স ফ্য়াক্টর লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মহিলা ভোটারদের মন জিততে, 'মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা'কে প্রধান হাতিয়ার করেছিলেন নীতীশ কুমার। যে প্রকল্পে ভোটের ঠিক মুখে বিহারের ১ কোটি ২১ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১০ হাজার টাকার দিয়েছিলেন তিনি।পাশাপাশি NDA-এর ইস্তেহারে বলা হয়েছিল ক্ষমতায় এলে, ১ কোটি ‘লাখপতি দিদি’ থাকবে বিহারে। মহিলা উদ্যোগপতিদের কোটিপতি বানানো হবে 'মিশন ক্রোড়পতি'র অধীনে। এরইসঙ্গে ভোটের আগে রাজ্যের সব সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৫ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণাও করেন নীতীশ কুমার। এসবেরই হাতেনাতে ফল পেলেন তিনি।