এখনও অবধি যা ফলাফল, তাতে পরিষ্কার, পাটলিপুত্রের তখত্ দখলের লড়াইয়ে এনডিএ-র মুখ নীতীশ কুমার হলেও ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ কিন্তু সেই নরেন্দ্র মোদিই। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ইতিমধ্যে মানুষ মোদিজির নেতৃত্বকে আরও একবার মেনে নিল বলেও মন্তব্য করেছেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পরপর দু’টি লোকসভা নির্বাচনে মোদি-ঝড় উঠলেও ২০১৮ পর্যন্ত ৮-টি বিধানসভা নির্বাচন এবং ২১৮-টি উপ নির্বাচনে হেরেছে বিজেপি। মোদি-অমিত শাহের কাছে ২০১৮-তে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান আর ছত্তীসগঢ় বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় ছিল বড় ধাক্কা। যার জেরে বারবার প্রশ্ন উঠছিল, তাহলে কি রাজ্যের ভোটে মোদি-হাওয়া আর কাজ করছে না? বিহারে কিন্তু এখনও অবধি নীতীশের মান বাঁচাচ্ছেন সেই মোদিই! একসময় যাঁর নামের বিরোধিতা করে এনডিএ ছেড়েছিলেন নীতীশ!
ঘোড়া কেনাবেচার জেরে কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশে আবারও ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে ২২ জন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। সব মিলিয়ে ২৮টি বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রেস্টিজ ফাইটে ২১টি আসনেই জিতল বিজেপি। মাত্র ৬টি আসন ধরে রাখতে সক্ষম হল কংগ্রেস। একটি আসনে জয়ী মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি। অর্থাৎ জ্যোতিরাদিত্য কংগ্রেসকে বুঝিয়ে দিলেন, গ্বয়ালিয়রে এখনও শেষ কথা সিন্ধিয়ারাই! আর শুধু মধ্যপ্রদেশ নয়, গুজরাতেও দলত্যাগী কংগ্রেস বিধায়করা পদ্মফুলে লড়ে জয়ী হলেন! গুজরাতে দলবদলকারী ৫ কংগ্রেস বিধায়কই বিজেপির হয়ে লড়ে জয়ী হয়েছেন। মণিপুরেও ৫ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে। ৫টি আসনের মধ্যে ৪টিতেই জয়ী হয়েছে গেরুয়া শিবির।
অর্থাৎ আয়ারাম-গয়ারামদের হাজারো সমালোচনা করা হলেও, ভোটাররা কিন্তু কর্ণাটক থেকে মধ্যপ্রদেশ হয়ে গুজরাত কিংবা মণিপুর, বারবার ভরসা রাখেন তাদের ওপরই।