রবিবার হিন্দিতে একটি ট্যুইটে নাড্ডা লেখেন, “করোনার প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দেওয়ায় আমি পরীক্ষা করিয়েছিলাম। তাতে রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমার শরীর ঠিক আছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো বাড়িতেই আইসোলেশনে আছি। কোভিডের যাবতীয় নিয়ম মেনে চলছি। আমার আবেদন, গত কয়েকদিনে যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁরা দয়া করে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে নিন।“
উল্লেখ্য, নাড্ডার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে দুশ্চিন্তা বেড়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। চলতি সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছিলেন তিনি। দু'দিনের সফরে ভবানীপুর ও ডায়মন্ড হারবারে গিয়েছিলেন। ডায়মন্ড হারবারে সফর ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। যা নিয়ে তুঙ্গে কেন্দ্র রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত। এই সফরের দুদিনের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। দলের নেতা কর্মীদের পাশাপাশি বহু সাধারণ মানুযের সংস্পর্শে এসেছিলেন তিনি। কীভাবে তাঁদের চিহ্নিত করা হবে? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নাড্ডা বাড়িতে থাকলেও চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।
তবে বিজেপির অন্দরে করোনার হানা এই প্রথম নয়। এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, অনুপম হাজরা, অগ্নিমিত্রা পালরা। এবার সেই তালিকায় নাড্ডার নামও যুক্ত হল।
এদিকে রবিবারের হিসেব অনুযায়ী দেশে করোনায় কমল দৈনিক মৃত্যু। বাড়ল সংক্রমণ। কমেছে দৈনিক সুস্থতা। দৈনিক মৃত্যুতে দেশে আজও তৃতীয় স্থানে বাংলা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৪৪ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। ওই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে করোনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ১৯ জনের। মোট আক্রান্ত ৯৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৯। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৯১ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৪২। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩০ হাজার ২৫৪ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ৫ জন। তবে এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৯৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৪৬৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৩ হাজার ১৩৬ জন।