কলকাতা : সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে পুরানো দল তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। এবার মুকুল রায়ের বিজেপির সদস্যপদ ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।


এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, "উনি একজন সিনিয়র নেতা। তাঁকে লোকে বিশ্বাস করে, আস্থা করে ভোট দিয়েছিলেন। সেই জন্য উদাহরণ প্রস্তুত করা উচিত। দল ছেড়ে দিয়েছেন, সদস্যপদও ছেড়ে দেওয়া উচিত।" 


দিলীপ আরও বলেন, "দলত্যাগ বিরোধী আইন তো ভারতের সংসদে পাস হয়েছে। সবার জন্য লাগু। কিন্তু, বিধানসভায় যখন দলত্যাগ হয়, তখন স্পিকারের অনেকটা গুরুত্ব থাকে। তাঁর ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর অনেকটা নির্ভর করে। গত বছর যখন সিপিএম-কংগ্রেস ছেড়ে অনেক বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, তখন তারা কেসও করেছিল, কিন্তু তাতে যে সহযোগিতা করার কথা তা স্পিকার করেননি। পরে আরও ব্যাপক সংখ্যায় বহু বিধায়ক আমাদের দলে চলে আসেন। তৃণমূল সহ বিভিন্ন দল থেকে। তারও কোনও বিচার হয়নি। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য এই ধরনের আইন পাস হয়েছে। একটা দলের প্রতীকে দাঁড়িয়ে বহু মানুষের সমর্থন নিয়ে জেতার পরে সেই পার্টি ছেড়ে চলে যাওয়া ঠিক নয়। সেই জন্য আইন করা হয়েছে। আগামীদিনে সেই আইনের ব্যবহারও হবে। অন্যান্য রাজ্যে এরকম বহু ঘটনা ঘটেছে। আদালতের রায়ে সদস্যপদও চলে গিয়েছে।"


গত শুক্রবার পুত্র শুভ্রাংশকে নিয়ে তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। এদিকে ভোটের পর বিজেপি ছেড়ে পুরানো দল তৃণমূলে ফিরে আসতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন অনেক নেতাই। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে বিধায়ক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মুকুল। তৃণমূলের দাবি, আরও কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, আমি বিরোধী দলনেতা, আমি দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করব। এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে, দল বদলের পর মুকুল রায় বিধায়ক পদেই থাকবেন ? নাকি, ইস্তফা দেবেন ? না, দীনেশ ত্রিবেদী বা মানস ভুঁইয়ার আসনে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাবে তৃণমূল ? তবে বিধায়ক পদ ছাড়ার ব্যাপারে দলের কোর্টে বল ঠেলে দেন মুকুল। বলেন, এ ব্যাপারে দল সিদ্ধান্ত নেবে।