কলকাতা: বিজেপি তৃণমূলকে লখনউ, কাশ্মীর-অসমে ঢুকতে দেয়নি। কিন্তু  তিনি শত্রুদেরও সম্মান করেন। জাতীয় নাগরিকপঞ্জি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সংঘাতের আবহে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সংঘাতের আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলা সফর ঘিরে উত্তাল হয় রাজ্য। মোদীর সঙ্গে রাজভবনে বৈঠক প্রসঙ্গে মমতাকে সরাসরি নিশানা করে বাম-কংগ্রেস থেকে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। সেই প্রসঙ্গে এবার ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, বাংলা সব সময় অতিথি পরায়ণ। অতিথিকে সম্মান করে, স্বাগত জানায়। তুমি তৃণমূলকে লখনউ, কাশ্মীর-অসমে ঢুকতে দাওনি। কিন্তু আমি শত্রুদেরও সম্মান করি। তুমি অধম হইলেও আমি উত্তম হইব না কেন।

এনআরসি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন গভীর চক্রান্ত বলেও এদিন অভিযোগ করেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, নাগরিকত্ব নিয়ে এত নাচানাচি কেন? আসল উদ্দেশ্য ৫ বছর সবাইকে বিদেশি করে দেবে। সম্পত্তি, চাকরি সব বেআইনি হয়ে যাবে। ওরা ৩১ হাজার বিজেপির লোক ঢোকাবে বলে ১৩০ কোটি লোককে বাতিলের খাতায় ঢোকাবে কেন? এটা হিন্দু-মুসলমানের ব্যাপার নয়। গভীর ষড়যন্ত্র। বিদেশি টাকা সাদা করার চেষ্টা। এটা বিজেপির গেমপ্ল্যান। আমরা বাঙালি-অবাঙালি করি না। বিজেপি বাংলা-বিরোধী, বাঙালি-অবাঙালি করে।

বিজেপির অবশ্য বরাবরই দাবি, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির স্বার্থেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন এবং মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। মঙ্গলবার ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধর্নার পঞ্চম দিন। এর মধ্যে তিন দিনই ধর্নামঞ্চে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।