সিউড়ি: এবার অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। চামড়া গুটিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন রাজু। সামনেই বিধানসভা ভোটে। তার আগে বীরভূমে চড়ছে রাজনৈতিক তরজার পারদ।
গতকাল সভা থেকে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, সোনার বাংলা গড়বেন বলছেন আগে উত্তর প্রদেশ মধ্য প্রদেশে সোনার বাংলা করুন। তারপর বাংলা নিয়ে ভাববেন। গ্রামে এলে ঠেঙিয়ে পগারপর করুন। আর এরপরই তৈরি হয় বিতর্ক।
এপ্রসঙ্গে পাল্টা চামড়া গুটিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বিজেপি । রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা মেরে চামড়া গুটিয়ে আমরা করে দেব। পারলে সামলা।
স্পষ্টতই, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, লালমাটির জেলায় ততই বাড়ছে রাজনৈতিক বাগ্যুদ্ধ। বাড়ছে হুমকি এবং পাল্টা হুমকি দেওয়ার ঘটনা। একজন বলছেন, ঠেঙিয়ে পগারপার করে দেবেন। পাল্টা মেরে চামড়া গুটিয়ে দেব, বলছেন আরেকজন।
২০ ডিসেম্বর বোলপুরে মিছিল করে রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিয়েছিলেন অমিত শাহ। বোলপুরে দাঁড়িয়েই পাল্টা তার জবাব দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। মঙ্গলবার মুরারইয়ে জনসভা থেকে বাংলায় বিজেপিকে হারানোর ডাক দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, ২২০-২৩০ টি যদি আসন না পাই, রাজনীতি থেকে অবসর নেব। দিদি থাকলে বাংলা থাকবে। দিদি না থাকলে বাংলা থাকবে না। বাংলাকে অন্ধকার নামিয়ে দেবে। বাংলাকে শেষ করে দেবে। বিক্রি করে দেবে।
অনুব্রত মণ্ডলকে জবাব দিতে গিয়ে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বীরভূমে তিনি যেভাবে অত্যাচার করেছেন, মানুষ খুনের রাজনীতি করেছেন, মাফিয়া তৈরি করেছেন। তিনি বালি মাফিয়া, সিণ্ডিকেট মাফিয়ার সঙ্গে যুক্ত। একটার পর একটা গুণ্ডা তৈরি করে আমাদের কর্মীদের খুন করিয়েছেন। আর মাত্র চারমাস। তারপরেই অনুব্রত মণ্ডলের শ্রীঘরের জায়গা আমরা পাকা করে রেখেছি।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটে বীরভূমের দুটি আসনেই জয়লাভ করে তৃণমূল।কিন্তু লোকসভা ভোটের বিধানসভাওয়াড়ি ফলের নিরিখে, বীরভূমের ১১টি আসনের মধ্যে ৬টিতে এগিয়ে তৃণমূল। আর ৫টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। আসন্ন বিধানসভা ভোটে কী লেখা আছে কার ভাগ্যে সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি।