কলকাতা: কামারহাটির যোগদান মেলা থেকে মদন মিত্রকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়। গণতন্ত্রকে নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।


গত সপ্তাহে নেতাইয়ের সভা থেকে তৃণমূল নেতা মদন মিত্র বলেন, নেতাই থেকে পেটাই শুরু। এই আক্রমণের জবাব দিলেন বিজেপি নেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়। মদনের গড়ে দাঁড়িয়ে পাল্টা আক্রমণ করেন সুমন। তিনি বলেন, মদন এই বয়সে বাড়াবাড়ি করো না, তোমার মেরে বিগড়ে দেব বদন।


বিধানসভা ভোটের আগে স্বমেজাজে ময়দানে নেমেছেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। এবার তাঁর একদা গড় কামারহাটিতে দাঁড়িয়ে তাঁকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ল বিজেপি। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কামারহাটি কেন্দ্রে হেরে যান মদন মিত্র। ২০১৯-এ ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও অর্জুন সিংয়ের ছেলের কাছে হারেন তিনি। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ফের আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সম্প্রতি নেতাইয়ের সভা থেকে, শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন কামারহাটির প্রাক্তন বিধায়ক।


তৃণমূল নেতা মদন মিত্র বলেন, শুভেন্দুর নরকেও জায়গা হবে না। মায়ের দুধ খেয়ে থাকলে, যদি বাপের ব্যাটা হয়, তৃণমূলকে দেখে নে। সোমবার কামারহাটিতে যোগদান মেলার আয়োজন করে, সেখান থেকে মদন মিত্রর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমরা চাইলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তৃণমূলের সব পার্টি অফিস বন্ধ করে দিতে পারি। মস্তানি করলে মস্তানি ছুটিয়ে দেব।


পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিতে ভোলেনি বিজেপি। এদিনের সভা থেকে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য বিজেপি সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, টেনশন দেবেন না, বেশি টেনশন দিলে ভবিষ্যতে সাসপেনশন পাবেন। যারা বাইরে থেকে এসে মস্তানি করছে তাদেরকে পগার পার করে দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যতে বদল হবে, এবং বদলাও হবে। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়া হবে।


বিজেপির আক্রমণের জবাব দিয়েছে তৃণমূল। উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ বলেন, এদের রাজনৈতিক কোনও সেন্স নেই। একটা চক্রান্ত চলছে। আমরা সতর্ক ও সজাগ আছি। এরা বর্গীর দল। গণতন্ত্রকে নষ্ট করছে। উল্লেখ্য, ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে কামারহাটিতে জয়ী হন সিপিএমের মানস মুখোপাধ্যায়। গত লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে, কামারহাটি বিধানসভায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল। দু’নম্বরে ছিল বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভোটের আগে তুঙ্গে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর।