কলকাতা: কালই রাজ্যে আসছে করোনা ভ্যাকসিন। বিশেষ বিমানে রাজ্যে আসছে ভ্যাকসিন। আগামী শনিবার থেকেই শুরু হবে টিকাকরণ। কেন্দ্রীয় সরকার আগেই জানিয়েছে, আপাতত জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগ করা হবে ভ্যাকসিন।
ভ্যাকসিন আসার পর প্রাথমিকভাবে বাগবাজারে সেন্ট্রাল স্টোরে রাখা হবে ভ্যাকসিন। সেখান থেকে বিভিন্ন জেলায় ভ্যাকসিন বন্টন শুরু হবে। কাল থেকেই শুরু হবে বন্টনের কাজ। কীভাবে হবে গোটা প্রক্রিয়া?
টিকাকরণের জন্য ছুটি বাতিল করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের। কো-উইন অ্যাপে যাদের নাম নথিভুক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হবে নাম। প্রথম দফায় এসএসকেএম হাসপাতাল, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এনআরএস হাসপাতালে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। প্রাথমিক স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বেছে নেওয়া হয়েছে। জেলা হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গ্রামীণ হাসপাতালেও হবে ভ্যাকসিন। নিয়োগ করা হয়েছে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের। প্রতিক্ষেত্রে ৫ জনের দল তৈরি করা হয়েছে। যারা হলেন ভ্যাকসিনেটর। যারা টিকা দেবেন, নাম নথিভুক্ত করবেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না সেদিকেও নজর রাখা হবে।
বছরের শুরুতেই কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন-এ জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন দেয় ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিজিসিআই।এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর মনে প্রশ্ন ছিল কবে হাতে আসবে ভ্যাকসিন? ভ্যাকসিন নিয়ে অনন্ত অপেক্ষার অবশেষে অবসান হতে চলেছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে নেওয়া হয় সিদ্ধান্ত আগামী ১৬ জানুয়ারি, শনিবার দেশে শুরু হবে করোনার টিকাকরণ।
এদিকে আজই বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিনের পথে ভারত। যে ২টি ভ্যাকসিনে অনুমতি, দু’টিই মেড ইন ইন্ডিয়া। আরও ভ্যাকসিন এলে ভবিষ্যতে আরও পরিকল্পনা করা যাবে। দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যাবতীয় সতর্কতা অবলম্বন করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ভারতীয় ২টি ভ্যাকসিন বিশ্বের অন্য টিকার চেয়ে সস্তা।’ তিনি বলেছেন, ‘প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী, পুলিশকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।‘প্রথম দফায় ৩ কোটি ডোজের খরচ কেন্দ্রের। এক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে খরচ বহন করতে হবে।’
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল চিঠিতে লিখেছেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের সরকার রাজ্যের সমস্ত মানুষের কাছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে।” স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বাংলায় ভ্যাকসিনেশনের জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে নথিভুক্ত করা হয়েছে ৭ লক্ষ জনের নাম। এর মধ্যে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ১০ হাজার জনের নাম নথিভুক্ত হয়েছে।