নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদির সামনে বিজেপি নিরুপায়। তিনি না থাকলে ১৫০ আসনও পাবে না বিজেপি। বিরোধী শিবিরের কোনও নেতা নন, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবার এমনই মন্তব্য করলেন। ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও মোদিকে সামনে রেখেই বিজেপি-র এগনো উচিত বলে মত নিশিকান্তর। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে জোর চর্চা বিজেপি-র অন্দরেও। (Narendra Modi)

বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্য়ের জন্য পরিচিত নিশিকান্ত। মূলত বিরোধীদেরই এতদিন বিঁধতেন তিনি। তবে নিজের দল সম্পর্কে মন্তব্য করে এবার খবরে উঠে এলেন তিনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া খোলামেলা সাক্ষাৎকারে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন। আর তাতেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন নিশিকান্ত। (Nishikant Dubey)

সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি এখনও সামনে না এলেও, নিশিকান্তের বক্তব্যের কিছু অংশ প্রকাশ করেছে এএনআই। তাতে নিশিকান্তকে বলতে শোনা যায়, “দিল্লিতে আগামী ১৫-২০ বছর জায়গা খালি নেই। মোদিজি যদি আমাদের নেতা না থাকেন, বিজেপি ১৫০টি আসনও জিততে পারবে না। ২০২৯ সালের নির্বাচনে মোদির নেতৃত্বে লড়াই করা ছাড়া উপায় নেই বিজেপি-র।”

রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সঙ্ঘের নিয়ম অনুযায়ী, বয়স ৭৫ বছর হলেই অবসর নেওয়া দস্তুর। কিন্তু নিশিকান্তের বক্তব্য, “বিজেপি-কে মোদিজির কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু বিজেপি-র মোদিজিকে প্রয়োজন। মানুন বা না-ই মানুন, রাজনৈতিক দল কাল্ট পার্সোনালিটির উপর নির্ভরশীল।”

শুধুমাত্র বিরোধীদের জন্যই নয়, নিশিকান্তর এই মন্তব্য বিজেপি-র সাধারণ নেতা-কর্মীদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মোদির উত্তরাধিকারী হিসেবে, মোদির পর বিজেপি-তে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে যাঁকে দেখা হয়, সেই যোগী আদিত্যনাথের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন নিশিকান্ত। এর আগেও যোগী সম্পর্কে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। তাঁর যুক্তি ছিল, আপাতত দিল্লিতে জায়গা খালি নেই। আগামী ২০-২৫ বছরে কী হবে, তা বলা সম্ভব নয়। 

নিশিকান্তর মন্তব্য আরও একটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতি সম্প্রতি সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত ৭৫ বছরে বয়সে অবসর গ্রহণের গুরুত্ব বোঝান। মোদির দিকেই ভাগবতের ইঙ্গিত ছিল বলে জোর গুঞ্জন শুরু হয় সেই সময়। যদিও নিশিকান্তর দাবি, মোদির ক্ষেত্রে এই নিয়ম খাটে না। কারণ বিজেপি-র তাঁকে দরকার। নিশিকান্তর এই মন্তব্য নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি বিজেপি। তবে তাঁর মন্তব্যের ওই অংশ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।