নয়াদিল্লি: চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদের ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করায় পাল্টা রাহুল গাঁধীকে কাঠগড়ায় তুলে দেশে বিভাজন ঘটানো ও সেনাবাহিনীর মনোবলে চিড় ধরানোয় অভিযুক্ত করল বিজেপি। খোদ বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা ট্যুইট করে বলেছেন, কংগ্রেস সাংসদ সেনার মনোবল ভেঙে দিচ্ছেন।
গত সপ্তাহে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত, চিনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে এক কর্নেল সহ ২০ ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর জেরে কেন্দ্রের শাসক দল ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে চলতি বাকযুদ্ধে নতুন মাত্রা যোগ করল বিজেপি সভাপতির ট্যুইট। নড্ডা কংগ্রেসের সঙ্গে ২০০৮ সালে চিনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির স্বাক্ষরিত চুক্তির উল্লেখ করে প্রশ্ন করেন, এটা কি কংগ্রেসের ওই বোঝাপড়া চুক্তির (মউ) ফল!
২০০৮ এ গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে উচ্চ পর্যায়ে পারস্পরিক মতামত বিনিময়ের জন্য চুক্তি করে কংগ্রেস ও চিনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)। তাতে সই করেছিলেন রাহুল ও চিনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তখন রাহুল ছিলেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক, শি কমিউনিস্ট পার্টির সিনিয়র নেতা।


সেই প্রসঙ্গ টেনে নড্ডা ট্যুইট করেন, প্রথমে কংগ্রেস চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করল। তারপর চিনকে জমি ছেড়ে দিল। ডোকলাম সমস্যার সময় তো রাহুল গাঁধী লুকিয়ে চিনা দূতাবাসে গিয়েছিলেন। সব গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে রাহুল গাঁধী দেশে বিভাজন ঘটানোর চেষ্টা করেন, সশস্ত্র বাহিনীর মনোবলে চিড় ধরান। মউয়ের প্রভাব?
চিনের সঙ্গে লাদাখ সীমান্ত বিরোধের ইস্যুতে মোদি সরকারকে কংগ্রেসকে লাগাতার আক্রমণ করছে কংগ্রেস। গতকাল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেশের কৌশলগত স্বার্থের ইস্যুতে নিজের মন্তব্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। মিথ্যা তথ্য দেওয়া কূটনীতি বা দৃঢ় নেতৃত্বের বিকল্প হতে পারে না।
রাহুলও প্রধানমন্রীতন মোদি চিনের কাছে ভারতীয় ভূখণ্ড ছেড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ এনে এবার তিনি ভারতের মঙ্গলের জন্য মনমোহনের পরামর্শ খুশি মনে গ্রহণ করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। মঙ্গলবারও প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি ট্যুইট করেন, চিনা হামলার বিরুদ্ধে আমরা সকলে একজোট। কিন্তু চিন কি ভারতের জমি দখল করেছে?