কলকাতা : মুকুল রায়ের বিজেপি-ত্যাগের জল্পনার মধ্যেই সরব হলেন একাধিক বিজেপি নেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মতামত জানালেন বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য স্বপন দাশগুপ্তও।


ট্যুইটারে তিনি লিখলেন, ভোটে পরাজয় চিন্তার বিষয়। বঙ্গ বিজেপির কাজ তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে চলা। সেই পদক্ষেপই নেওয়া হচ্ছে এবং তা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। পুরানো ও নতুন কার্যকর্তাদের নিরাশ হয়ে খোলের মধ্যে ঢুকে পড়ার কোনও কারণ নেই। ২.২ কোটি ভোটারকে নিয়ে বিজেপি গড়ে উঠবে এবং নিজেদের বিস্তার বাড়াবে।


স্বপন দাশগুপ্ত ২০১৬-র এপ্রিলে রাজ্যসভার সদস্য পদে শপথ নেন। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যসভার সদস্য পদে ইস্তফা দেন স্বপন। তারকেশ্বরে তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। যদিও বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি। তৃণমূল প্রার্থী রমেন্দু সিনহারায়ের কাছে ৭ হাজার ৪৮৪ ভোটের ব্যবধানে হারেন। 


এরপর ফের গত ১ জুন তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয়। রাজ্যসভায় তাঁকে পুনরায় মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সাংসদ পদে তাঁর মেয়াদ থাকবে ২০২২-এর ২৪ মে পর্যন্ত। আগের সাংসদ পদের মেয়াদই পূর্ণ করবেন স্বপন দাশগুপ্ত। 


এই পরিস্থিতিতে আজ মুকুলের তৃণমূলের প্রত্যবর্তনের জল্পনার মধ্যেই কারও নাম না করে ট্যুইট করেন স্বপন। 


প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল। লোকসভা ভোটের দুবছর আগে। তার আগে রাজ্যসভায় পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। পরে সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেন, দলে পরিবারতন্ত্র চলছে। কাজ করা সম্ভব নয়। এর পরই মুকুলকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। মুকুলের দলত্যাগের পর তৃণমূল সাংগঠনিক দিকে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। কারণ, একসময় তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড' দলের সাংগঠনিক দিকের একটা বড় অংশ সামলাতেন। কাজেই তাঁর দলত্যাগে প্রভাব পড়বে বলে যুক্তি ছিল তাদের। যদিও গত বিধানসভা নির্বাচনে তা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। মমতা ক্যারিশ্ম নষ্ট হয়নি, তার প্রমাণ মেলে। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন হয় তৃণমূলের।