কলকাতা : ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির পুর অভিযান ঘিরে চরম উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি। রাস্তায় বসে পড়ে পাল্টা প্রতিবাদ অগ্নিমিত্রা পাল সহ বিজেপি নেতা-কর্মীদের। ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন দিলীপ ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, জয়প্রকাশ মজুমদাররা।


বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, "জোরজবরদস্তি করে বিধায়কদের ভ্যানে তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। নতুন সরকার এসেছে। দুই মাস হয়েছে সবে। আমরা চেয়েছিলাম সরকার ঠিক করে কাজ করুক। করোনা পরিস্থিতি সামলে এগিয়ে যাক। কিন্তু, দুই মাসেই এখানে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। ৪৫ জন খুন হয়েছেন। এর উপর ভ্যাকসিন নিয়ে যেভাবে রাজনীতি হচ্ছে। অগত্যা আমরা রাস্তায় নেমেছি। জাল ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। টাকা নিয়ে ভ্যাকসিন বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই মানুষের দাবিদাওয়া নিয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছিলাম। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ছিল। কর্মসূচি শুরু হয়েছে কি হয়নি তার মধ্যেই ৫০ জন লোককে গ্রেফতার করে বাসে তুলে নিয়ে চলে গেল। মানুষ ওদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। আমরা মেনেও নিয়েছি। সরকারকে কাজ করতে দিতে চেয়েছি। কিন্তু, সরকার প্রথম থেকেই চালাকি করছে। মানুষের জীবন নিয়ে ছিলিমিনি খেলা হচ্ছে। তার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছি।" 


সরব হন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রাও। তিনি বলেন, "এটা তো শুধু আমাদের ইস্যু নয়। বাংলার মানুষের ইস্যু। দেবাঞ্জনের মতো মানুষ সারা পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। কে তাকে অনুমতি দিল ?"


অন্যদিকে জয়প্রকাশ বলেন, "পুলিশ দিয়ে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে । তা কি হয় ? করোনা অতিমারির জন্য ভ্যাকসিনেশন দরকার। মানুষ ভ্যাকসিন চাইছেন। আর সেই ভ্যাকসিনটা জাল ভ্যাকসিন ! করোনা যাবে কী করে ? আজ এক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেটা কি অতিমারির নিয়ম মেনে ? আমাদের ৫০০ লোক এসেছে। তাতেই এক হাজার পুলিশ লাগছে। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আজ আমরা যদি রাস্তায় নেমে জাল ভ্যাকসিন, সন্ত্রাসের কথা না বলি, তাহলে কে বলবে ?" তাঁর প্রশ্ন, "গড়গড়িয়ে দুর্নীতির চাকা চলবে ? তা হতে পারে না। এই স্বৈরাচারী মনোভাবও অতি সংক্রামক।"