কলকাতা : বিজেপির 'পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস' ঘিরে ধুন্ধুমার। রানি রাসমণি অ্যাভনিউতে ধুন্ধুমার বাধে। পুলিশের বিরুদ্ধে কর্মসূচিতে 'বাধা' দেওয়ার অভিযোগ। পরে মহামারী আইনে গ্রেফতার করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দেবশ্রী চৌধুরীদের।


বিজেপির তরফে আজ প্রথমে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে কর্মসূচি ছিল। সেখানে বিক্ষোভ, অবস্থান করার জন্য জড়ো হন দলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে সৌমিত্র খাঁ সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।


এর পর রণকৌশল বদলে দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। গাঁধী মূর্তির পাদদেশে এসে বসে পড়েন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, জয়প্রকাশ মজুমদাররা। ঘটনাস্থানে পুলিশ আসে। তাদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই কর্মসূচির কোনও অনুমতি নেই। এর পরই দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্য যাঁরা ছিলেন, তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। মহামারী আইনে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। সেখান থেকে তাঁদের লালবাজারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের তরফে বলা হচ্ছে, এই কর্মসূচির কোনও অনুমতি ছিল না। সেই কারণেই এই গ্রেফতার।


এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী- রাজ্য পুলিশের মধ্যেও ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়ে যায়। কর্মসূচিতে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দানের অভিযোগ ওঠে। সব মিলিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অবস্থানে বসে বিজেপির মহিলা মোর্চা। দেবশ্রী চৌধুরী অবস্থানে বসেন। তাঁর সঙ্গে সামিল হন দলের অন্য মহিলা নেত্রীরা। পরে মহিলা পুলিশ এসে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় দেবশ্রী চৌধুরী সহ দলের অন্য নেত্রীদের। উল্লেখ্য, বাঁকুড়ায় এদিন দলীয় এই কর্মসূচিতে যোগ দেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।  


এদিকে আজ রাজ্য সরকারের খেলা হবে দিবস। এদিন ইকো পার্কে শরীর চর্চা করতে এসে খেলা হবে দিবস নিয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, খেলাটাকে রাজনীতি ও হিংসার খেলায় পরিণত করেছে তৃণমূল। সিন্ডিকেট ও কাটমানির খেলা চলছে। বাকিরা ডায়লগ দেয়, আমি গোল দিই।