নন্দীগ্রাম: সদ্য দলে যোগ দিয়েছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন রাজ্যের হেভিওয়েত নেতা। নব্য বিজেপি শুভেন্দু অধিকারীর স্লোগানকে হাতিয়ার করেই রাস্তায় নামল গেরুয়া শিবির। নন্দীগ্রামে মিছিল করল বিজেপি। সেখান থেকে রাজ্য সরকারের প্রচার কর্মসূচিকে আক্রমণ করে তারা। এই আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসক দল।
গত কয়েকদিনে বিভিন্ন সভা থেকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী স্লোগান তুলেছেন, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হবে। বিজেপি ঘরে ঘরে। শুভেন্দুর এই স্লোগানকেই হাতিয়ার করে মঙ্গলবার মহম্মদপুর থেকে টেঙ্গুয়া পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার মিছিল করলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। রীতিমতো খোল-করতাল বাজিয়ে মিছিল করা হয়। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে এই মিছিলকে ‘হরিধ্বনি’ যাত্রা বলেছে গেরুয়া শিবির।
বিধানসভা ভোটের আগে সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে ‘বঙ্গধ্বনি’ যাত্রা করছে রাজ্য সরকার। জনসংযোগ বাড়াতে করা হচ্ছে দুয়ারে সরকার বা পাড়ায় পাড়ায় সমাধানের মতো কর্মসূচি। তখন নন্দীগ্রাম থেকে রাজ্য সরকারের পাল্টা ‘হরিধ্বনি’ যাত্রা শুরু করল বিজেপি। উল্লেখ্য, ৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যন্ড সংলগ্ন মাঠে রাজনৈতিক সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভার আগে বিজেপির ‘হরিধ্বনি’ যাত্রা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, সরকার ভাওতা দেওয়ার জন্য নান কর্মসূচি করছে। এসব দিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো যাবে না। এই সরকারের অন্তেষ্ঠি হয়ে এসেছে, তাই আমরা হরিধ্বনি যাত্রা করছি। রাজ্য সরকারের প্রচার কর্মসূচি থেকে মানুষের অভিমুখ ঘোরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্বদেশ দাস বলেন, আমাদের রাজ্য সরকারের কর্মসূচি নিয়ে মানুষের ঢল নেমেছে। তখন তাঁদের অভিমুখ ঘোরানোর জন্য এসব করছে। ধর্মীয় ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। আগে তো স্লোগান ছিল জয় শ্রীরাম, এখন কেন আবার হরে কৃষ্ণ করছে?