কলকাতা: বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ BNP নেতার। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ এবং সুশাসন নেই বলে অভিযোগ করেছেন BNP-র সাধরণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর সুশাসন না থাকার কারণেই স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও তোলাবাজির ঘটনা ঘটছে। 

Continues below advertisement

সংবাদ সংস্থা IANS সূত্রে খবর,  শনিবার একটা বই উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "আগে কোনও ব্যবসায়ীকে এক লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হলে এখন সেই পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা। দেশের কোথাও কোনও সুশাসন নেই। এমনকী নিয়ন্ত্রণও নেই। পুলিশের ভূমিকারও কোনও পরিবর্তন হয়নি।'' একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশে ভোট প্রক্রিয়ার উপরও জোর দেন তিনি। তিনি বলেন, "রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। তার জন্য সময় লাগবে। তবে তার মানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ত্যাগ করে হাত গুটিয়ে বসে থাকা নয়। কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। তাই দেরি না করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত। গণতান্ত্রিক উপায়ে জনপ্রতিনিধিদের সংসদে পাঠিয়ে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে হবে।আন্তর্জাতিক নীতিতে পরিবর্তন সম্পর্কেও এদিন তিনি সতর্ক করেন। উল্লেখ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রসঙ্গও। BNP নেতা বলেন, "ট্রাম্পের শুল্ক নীতি বড় সমস্যায় ফেলতে পারে। সাধারণ মানুষের স্বার্থে রাজনৈতিকে দলগুলিকে আরও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে।'' 

এর আগে শুক্রবার BNP-র বর্ষীয়ান নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সতর্ক করে বলেন নির্বাচন আরও দেরি হলে জটিলতা বাড়বে। তাঁর মতে একইসঙ্গে এতে অন্তবর্তী সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। যেহেতু অন্তবর্তী সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গঠন হয়নি, তাই দেশের কোনও সঙ্কটে তারা দায়িত্ব নাও নিতে পারে। কিন্তু ভোট দেরিতে হলে চাপ এবং প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে সরকারকে। তাই নতুন করে জটিলতা তৈরি হবে। BNP নেতার অভিযোগ, দেশের ক্রমবর্ধমান সঙ্কটের মধ্যে সরকারের কোনও পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষ সরকারের উপস্থিতিও অনুভব করতে পারছে না। 

Continues below advertisement

দিনকয়েক আগেই ফের উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ। বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলো সূত্রে খবর, গত ১৬ জুলাই দিনভর দফায় দফায় হামলা-সংঘর্ষ বাধে। এমনকাী কার্ফু জারি করা হয়। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান, শেখ হাসিনার জেলা গোপালগঞ্জ আওয়ামি লীগের গড় বলে পরিচিত। প্রথম আলো সূত্রে খবর মেলে, জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জের‘ ডাক দেয় জাতীয় নাগরিক পার্টি NCP. মঞ্চ ভাঙচুর ও হামলা চালান আওয়ামি লীগ ও ছাত্র লীগের নেতা-কর্মীরা। হামলার মুখে পড়েছিলেন NCP নেতারা। শেষপর্যন্ত সেনা পাহারায় তাঁদের সমাবেশস্থল ছাড়তে হয়। DC-র বাসভবন, জেল চত্বরের আশেপাশে ভাঙচুরের পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলা, গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটে। ঢাকার বাইরে অন্তত ২০টি জায়গায় সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছিল। সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে বাংলাদেশ পুলিশ। ঘটনার কড়া নিন্দা করে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।