সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, পোলবা: বন্ধ বাড়ি থেকে উদ্ধার মা ও শিশুর পচাগলা মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে পোলবার মহানাদ শীতলাতলা এলাকা। জোড়া দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্তোষ পাল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে মাস খানেক ধরে ভাড়া থাকতেন পিঙ্কি ওরাও নামে বছর ২৫-এর মহিলা ও তাঁর স্বামী। চার বছরের মেয়ে ষষ্টিকে নিয়েই ওই বাড়িতে থাকতেন তাঁরা।


স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গত তিনদিন ধরে মা ও মেয়েকে বাড়ির বাইরে বেরোতে দেখেননি কেউ। দেখা মেলেনি ব্যক্তিরও। আজ বৃহস্পতিবার বেলার দিকে বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। সন্দেহ হওয়ায় পোলবা থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে দেখে বাড়ির টিনের দরজা বাইরে থেকে তালা বন্ধ। 


তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে মা এবং শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতেদহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পোলবা থানার পুলিশ। একই সঙ্গে বাড়িটি সিল করে পুরো বাড়িটি দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়েছে মা ও শিশুকে। পিঙ্কির স্বামীই এই কাজ করেছে বলে প্রাথমিক অনুমান। নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। খুনের তদন্ত খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


কিছুদিন আগে বাঁশদ্রোণীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ। তিনতলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়। একাই থাকতেন প্রৌঢ়। প্রতিবেশীদের অনুমান, অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। 


বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধ পেয়েই সন্দেহ দানা বাঁধে পড়শিদের মনে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দরজা ভাঙতেই উদ্ধার হয় প পচাগলা দেহ। এক প্রৌঢ়ের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঁশদ্রোণীর বিবেকানন্দ পার্ক এলাকায়।পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সিদ্ধার্থ রায়। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন তিনি।


প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই প্রৌঢ় ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। কিন্তু গত চারদিন ধরে তাঁকে কেউ বাইরে বেরোতে দেখেননি। সন্দেহ হতে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর দরজা ভেঙে খাটের ওপর থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় প্রৌঢ়ের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘর থেকে উদ্ধার হয় দু’টি মদের বোতলও।