মূয়খরঞ্জন চক্রবর্তী,কলকাতা: মোবাইল চোর সন্দেহে শুক্রবার টিভি মেকানিক ইরশাদ আলমকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে বউবাজারের উদয়ন হস্টেলে (Bowbazar Mass beaten Case)। তদন্তে নেমে রবিবার এই বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা। খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুধুমাত্র সন্দেহের বশে টিভি মেকানিক ইরশাদ আলমকে পিটিয়ে খুন করা হয়। শুক্রবার সকাল ৮.২০ মিনিটে মোবাইল চোর সন্দেহে ইরশাদকে ধরে উদয়ন হস্টেলের ২ প্রাক্তনী। এরপর তাঁর পরিচয় জানতে সকাল ৮.৪৫ থেকে ৯.৩০ পর্যন্ত ৪৫ মিনিটে ওই টিভি মেকানিকের দোকান মালিককে মোট তিনবার ফোন করা হয়।


আরও পড়ুন: CID News: খুন, ডাকাতি থেকে হুমকি, বিহারে জেলে বসেই বাংলায় অপরাধের ব্লু-প্রিন্ট! কুখ্যাত 'জুয়েল থিফ' CID-এর জালে


পুলিশের দাবি, ১০ হাজার টাকা চেয়ে প্রথমবার ইরশাদকে দিয়ে জোর করে ফোন করানো হয়। পরে আরও দুবার দোকান মালিককে ফোন করে ইরশাদকে খুনে অভিযুক্তরা। তারপরেও টাকা না মেলায় ব্যাট দিয়ে ইরশাদের কোমরের নিচে বেধড়ক মারধর করা হয়। গণপিটুনির ঘটনার যাতে কোনও প্রমাণ না থাকে তার জন্য  প্রমাণ লোপাটের ছক কষে ছাত্রদের আরেকটি দল। তাদের কয়েকজন তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার জন্য পাশের দোকানের থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ডিলিট করতেও যায়। গণপিটুনির সময় বেধড়ক মারধরের ফলে ইরশাদের শরীরে বিভিন্ন অংশের হাড় ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। ইন্টারনাল ইনজুরি ও প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যু হয় ইরশাদের। এই ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার উদয়ন হস্টেলের সুপারকে পুলিশ তলব করতে চলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করার কথা রয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বারাসত ও সল্টলেকের সঙ্গে খোদ কলকাতাতেও গণপিটুনির ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বউবাজারের উদয়ন হস্টেলে গণপিটুনির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জেরা করে এই ঘটনায় জড়িত বাকিদের সন্ধান করা হচ্ছে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: CV Ananda Bose: শ্লীলতাহানির তদন্তে থাকা অফিসার, পুলিশ কমিশনারের অপসারণ চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল