রিয়া পুলিশে জানিয়েছেন, তিনি ও সুশান্ত বিয়ের কথা ভাবছিলেন। আরও বলেছেন, সুশান্ত ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন, তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তাঁর ‘উপদেষ্টা’ মহেশ ভট্ট তাঁকে পরামর্শ দেন, সুশান্তের এই মানসিক অবস্থায় তাঁকে ছেড়ে চলে আসতে। এই বিবৃতি নিয়ে প্রয়াত নায়কতের অনুরাগীদের মধ্যে তোলপাড় হয়, অনেকে প্রশ্ন করেন, রিয়ার সঙ্গে মহেশের সম্পর্ক নিয়ে। ভাইরাল হয়ে যায় রিয়া-মহেশের পুরনো এই ছবিগুলি।
এর মধ্যে রিয়ার ‘মা’ সুহৃতা এক দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট করেছেন। তাতে দাবি করেছেন, তাঁর মেয়ে সুশান্তকে সারিয়ে তোলার প্রচুর চেষ্টা করেন। মহেশ ভট্টের অফিসে বারবার এসে এ নিয়ে পরামর্শ করেন, তাঁকে ফোন করেন। কিন্তু অবসাদের কোনও ওষুধ হয় না। পরিস্থিতি দেখে স্যার তোমায় সেটাই বলেন, যা পরভিন ববি সম্পর্কে তাঁকে বলা হয়েছিল, বেরিয়ে যাও, নয়তো তুমিও ডুববে।
কিন্তু কথা হল, এই পোস্ট সুহৃতা করেছেন ১৪ জুন, বেলা ৩টে ৩৮ মিনিটে। তার মাত্র কিছুক্ষণ আগে জানা গিয়েছে সুশান্তের মৃত্যুর খবর। হতচকিত অনুরাগীরা কাউকে দোষারোপ করবেন কী, খবর হজম করে উঠতে পারেননি তখনও। তারই মধ্যে রিয়ার পক্ষ সমর্থন করে এই দীর্ঘ পোস্ট করে ফেলেছেন সুহৃতা। আবার শোনা যাচ্ছে, তিনি আদৌ রিয়ার মা নন, মহেশ ও মুকেশ ভট্টের বিশেষ ফিল্মসের এক কর্মী। ফেসবুকে তাঁর বায়োতেও তাই লেখা রয়েছে। তাই পোস্টে মহেশকে তিনি সম্বোধন করেছেন স্যার বলে, মহেশের সঙ্গে ছবির কাজ সম্পর্কিত ছবি ও পোস্টও রয়েছে তাঁর।
কিন্তু সুশান্তের অনুরাগীরা বলছেন, ভট্ট পক্ষ সমর্থন করতে নেমে সুহৃতা দুটি কাজ করেছেন, প্রথমত তিনি কনফার্ম করেছেন, রিয়া সুশান্তের ব্যাপারে মহেশের সঙ্গে আলোচনা করতেন, পরামর্শ নিতেন। দ্বিতীয়ত, মহেশই রিয়াকে বলেন, সুশান্তকে ছেড়ে চলে যেতে।