নয়াদিল্লি: বিএসএনএল কর্মীদের ‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘দেশবিরোধী’ তকমা দিয়ে তাঁরা কাজ করতে চান না বলে অভিযোগ তুলে তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে, এহেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা উত্তর কন্নড়ের বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়ে। সোমবার নিজের সংসদীয় কেন্দ্রের কুমটা এলাকায় এক অনুষ্ঠানে তাঁর মন্তব্যের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তাতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড দেশের কলঙ্ক, কেননা টাকাপয়সা, পরিকাঠামো, একটা তৈরি বাজার পেলেও টেলিকম সংস্থার কর্মীরা কাজই করতে চায় না। বেসরকারিকরণই এর একমাত্র দাওয়াই, যা আমাদের সরকার করবে। ৮৫ হাজারের মতো কর্মীকে তাড়ানো হবে, পরে আরও লোককে ছাঁটতে হবে।
বিরোধী কংগ্রেস হেগড়ের সমালোচনা করে বলেছে, এটাই ওঁর আসল চেহারা তুলে ধরছে। কেন্দ্র সব কিছুরই বেসরকারিকরণে উঠেপড়ে লেগেছে, যা দেখিয়ে দিচ্ছে, ওরা সরকার চালানোয় অক্ষম। বিতর্কিত মন্তব্য করা নতুন নয় হেগড়ের। কিছুদিন আগেই তিনি মহাত্মা গাঁধীর নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতা আন্দোলনকে নাটক বলে কটাক্ষ করেন, যার নিন্দা করে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা। কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হেগড়ের মন্তব্য নিয়ে নিজের অবস্থান জানাতে বলে। হেগড়ে যদিও বিষয়টি লঘু করে দেখানোর চেষ্টায় সাফাই দেন, কোনও রাজনৈতিক দল বা মহাত্মা গাঁধীর উল্লেখ তিনি করেননি, শুধুমাত্র স্বাধীনতা আন্দোলনকে একটা তালিকায় ফেলার চেষ্টা করছিলেন। ২০১৮য় তিনি সংবিধান বদলে তার মুখবন্ধ থেকে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটা বাদ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলে এমন তীব্র শোরগোল হয় যে, তিনি ক্ষমা চেয়ে নিয়ে তাঁর কথা বিকৃত করা হয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেন।