নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস অতিমারী আবহে এবার নতুন সেস চাপাতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী মাসের পয়লা তারিখ নয়া বাজেট ঘোষণা করবে কেন্দ্র। সেই বাজেটে নতুন সেস বসানোর ঘোষণা হতে পারে। রাজস্ব আদায় নিয়ে ইতিমধ্যে একবার বৈঠক করেছে কেন্দ্র।
সূত্রের খবর, বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তদের নিয়ে বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাজেট নিয়ে প্রস্তাবে শিল্পপতিরা বলেছিলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনও নতুন কর বা শুল্ক চাপানো যাবে না। নতুন করের বিরোধিতা করেছেন বিশেষজ্ঞরাও। এই বৈঠকে উপস্থিত একজন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কেন্দ্রের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক হয়েছে। উচ্চ আয়ের লোকজনের ওপর এধরনের সেস বসতে পারে। পেট্রোল, ডিজেলের উপরও কর চাপানো হতে পারে। এই আলোচনা হয়েছে। জিএসটি সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বে জিএসটি কাউন্সিল। কেন্দ্র একতরফা ভাবে কর চাপাতে পারে না। সংবাদমাধ্যমে প্রকশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ভ্যাকসিনের জন্য কেন্দ্রের খরচ হবে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা।
দেশজুড়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী আগামী অর্থবর্ষে আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনার ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারে। কেন্দ্রের শুল্ক আদায় রাজ্যের রাজস্ব বন্টনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। মহামারী পরিস্থিতিতে বহু রাজ্য শুল্ক আদায় বন্ধ রেখেছিল। প্রতিটি রাজ্যের ক্ষেত্রে রাজস্ব আদায়ের বড় উৎস জিএসটি।
উল্লেখ্য, মহামারী পর্বে ঝাড়খন্ড খনিজের উপর কোভিড শুল্ক জারি করে। পঞ্জাবে মদের উপর অতিরিক্ত কর চাপানো হয়। একইভাবে দিল্লি সরকার ৭০ শতাংশ শুল্ক চাপায় মদের উপর। যদিও পরে তা প্রত্যাহার করে ভ্যাট বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ভারত এলএলপি গ্রান্ট থর্নটন ট্যাক্সের জাতীয় নেতা বিকাশ ভসল বলেন, এতে সাধারণ মানুষের উপর বেশি প্রভাব পড়েছে। বিশেষত যারা ক্ষুদ্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বা এককভাবে কর দিয়ে থাকেন। বহু মানুষ এখনও বেতন হ্রাস বা চাকরি চলে যাওয়ার ফলে আর্থিকভাবে সমস্যায় আছেন। তাই করের উপর ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত।