বার্নপুর: বার্নপুরের কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস লিক করে দু'জনের মৃত্যুর খবর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার ইসকো প্ল্যান্ট থেকে গ্যাস লিক করে বেশ কয়েকজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। বুধবার ২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে। 


 ইসকোর কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস লিক করেই মৃত্যু হয় ওই দুই শ্রমিকের। সূত্রের খবর গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন আরও তিনজন। মঙ্গলবার বেলার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই দুই শ্রমিকের নাম বাবন সরকার ও সুমন বিশ্বাস। মৃতদের বয়স ৩৮ থেকে ৪০ এর মধ্যেই। সূত্রের খবর, ওই দুই শ্রমিকের বাড়িই বার্নপুরে। 


সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে ইসকোর কোকোওভেন ১১ নম্বর ব্যাটারিতে মেরামতির কাজ চলছিল। তখনই সিএনজি গ্যাস প্ল্যান্টের ওই চেম্বারে আচমকা ঝাঁঝালো গন্ধ পান কর্মরত শ্রমিকেরা। কাজ করতে করতে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েকজন শ্রমিক। একে একে বাকিরাও অসুস্থবোধ করতে শুরু করেন। কয়েকজন ওই জায়গা ছেড়ে পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনাস্থল থেকে শ্রমিকদের উদ্ধার করে বার্নপুর হাসপাতালে পাঠানো হয় এরপরই। 


তাঁদের তৎক্ষনাৎ অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বার্নপুর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসাও করা হয় তাঁদের। তবে সেখানেই ওই দুই শ্রমিককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। 


অভিযোগ ওঠে, কারখানায় কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস লিক হয়েই এই বিপত্তি। জানা গিয়েছে, মৃত ও অসুস্থরা প্রত্যেকেই ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন কারখানায়। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শ্রমিক সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মৃতদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে ওই বিভাগের জিএমকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলি। হাসপাতালে গিয়ে কর্তৃপক্ষের গাফিলতির প্রতিবাদে বিক্ষোভও দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 


উল্লেখ্য, এর আগে বার্নপুরের কোকওভেনেগ্যাস লিক করে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তখন ৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল।