নয়াদিল্লি: মথুরা ও বৃন্দাবন থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে। পুণ্যার্থী ভর্তি চলন্ত বাসে ধরে গেল আগুন, তাতে ন'জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হল। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। যাত্রীরা সকলেই তীর্থ করে ফিরছিলেন। সেই সময়ই বিপত্তি বাধে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে, ছিলেন মহিলা এবং শিশুও। গভীর রাতে আগুন ধরে যায় বাসটিতে। (Haryana Bus Fire)


শুক্রবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে হরিয়ানার ন্যু-তে। উত্তরপ্রদেশের মথুরা এবং বৃন্দাবন থেকে তীর্থ সেরে ফরছিলেন যাত্রীরা। সেই সময় কুণ্ডলী-মানেসর-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে আগুন ধরে যায় বাসটিতে। রাত দেড়টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। যাত্রীরা সকলে পঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মহিলা এবং শিশু মিলিয়ে একটি পরিবারেরই প্রায় ৬০ জন ছিলেন বাসটিতে। (Nuh Bus Fire)


অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন যাঁরা, তাঁরা সংবাদমাধ্যমে দুর্ঘটনাক বিবরণ দিয়েছেন। জানিয়েছেন, গভীর রাতে হঠাৎ ধোঁয়ার গন্ধ নাকে আসে তাঁদের। সেই সময় বাসটির গা ঘেঁষেই ছুটে যাচ্ছিল একটি মোটর সাইকেল। ওই মোটর সাইকেলের আরোহীই প্রথম বাসটির পিছনে আগুন দেখতে পান। গতি বাড়িয়ে ছুটে এসে বাসের চালককে আগুন লাগার কথা জানান তিনিই। তড়িঘড়ি বাস থামানো হয়। কিন্তু তার পরেও ন'জনকে বাঁচানো যায়নি।  



আরও পড়ুন: Fact Check: '২০১৪ সালে যারা এসেছিল, ২০২৪-এর পরে কি তারা থাকতে পারবে ?' মোদির জয়ে সংশয় নীতিশের ?


বেঁচে ফেরা এক যাত্রী বলেন, "১০ দিন ধরে পবিত্র ধর্মস্থানগুলি ঘুরে দেখতে বাসটি বুক করেছিলাম আমরা। শুক্রবার রাতে তীর্থ সেরে ফিরছিলাম। ঘুমের মধ্যেই নাকে ধোঁয়ার গন্ধ আসে। মোটর সাইকেলের আরোহী বাসের চালককে সতর্ক করেন। এর পর বাস থামানো হয়।" তবে বাস থামানো হলেও, দাউদাউ করে আগুন ধরে যায় গোটা বাসটিতেই। স্থানীয় মানুষজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাসটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 



স্থানীয়রাই পুলিশকে দুর্ঘটনার খবর জানান। পরে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকল বাহিনীও। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় তিন ঘণ্টা পরে সাহায্য়  এসে পৌঁছয়। তাই স্থানীরা মিলেই জানলা ভেঙে একে একে যাত্রীদের নামিয়ে আনতে শুরু করেন। পুলিশ এবং প্রশাসন যখন এসে পৌঁছয়, তত ক্ষণে বাসটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মারা যান ন'জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ছয় মহিলা এবং তিন পুরুষ। আহত হয়েছেন আট জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন ইনস্পেক্টর জিতেন্দ্র কুমার। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।