নয়া দিল্লি: ক্যাডবেরির চকোলেটে নিরামিষ বলে ব্যবহার করা হচ্ছে আমিষ উপকরণ। এই অভিযোগে তোলপাড় হল সোশ্যাল মিডিয়া। শেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে কোম্পানি। কী বলেছে ক্যাডবেরি কর্তৃপক্ষ ?


ঘটনার সূত্রপাত একটি স্ক্রিনশটকে ঘিরে। যেখানে বলা হয়, চকোলেট বানাতে হালাল সার্টিফায়েড বিফ জেলেটিন ব্যবহার করছে ক্যাডবেরি। কোম্পানির বেশকিছু প্রোডাক্টে গরুর মাংস দিয়ে তৈরি জেলেটিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এই স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার জন্য ক্যাডবেরির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। 


সপ্তাহ ধরে এই ট্যুইট ভাইরাল হওয়ার পরই মুখ খোলে ক্যাডবেরি। কোম্পানির তরফে জানানো হয়, তাদের চকোলেট ১০০ শতাংশ নিরামিষ। এরকম কোনও খবর ছড়ানোর আগে দু'বার ফ্যাক্ট চেক করা উচিত ক্রেতাদের। ব্রিটিশ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি জানায়, স্ক্রিনশটে যে ট্যুইট ব্যবহার করা হয়েছে তা Mondelez/Cadbury-র ভারতের প্রোডাক্টের সঙ্গে যুক্ত নয়। ক্যাডবেরির যে চকোলেট ভারতে তৈরি ও বিক্রি হয় তা একশো শতাংশ নিরামিষ। চকোলেটের মোড়কের মধ্যেই গ্রিন ডটে তা স্পষ্ট বোঝা যায়। 


এই বলেই অবশ্য থেমে যায়নি কোম্পানি। লিখিত বিবৃতিতে ক্যাডবেরি জানিয়েছে, এই ভাবেই কোম্পানির প্রতি ক্রেতাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। কোম্পানির সম্মান নষ্ট করতে বিরোধী মত তৈরির প্রচেষ্টা চলে। ক্রেতার উচিত এই ধরনের কোনও মন্তব্য করার আগে প্রোডাক্ট ডিটেইলস ভাল করে পড়ে নেওয়া। 


সম্প্রতি ক্যাডবেরির বিরুদ্ধে এই বিদ্বেষ নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় ট্যুইটারে। প্রায় ১০০-র বেশি ট্যুইটারাতি ক্যাডবেরি প্রোডাক্ট বয়কটের আহ্বান জানান। এরপরই এই বিষয়ে অফিশিয়াল বিবৃতি দেয় মোনডেলেজ ইন্টারন্যাশনাল। যা আসলে ক্যাডবেরির স্বত্ত্বাধিকারী। ভারতের চকোলেট মার্কেট বলছে, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় চকোলেট ব্র্যান্ড ক্যাডবেরি। অন্য নানা ব্র্যান্ড থাকলেও চকোলেটে একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে এই ব্রিটিশ কোম্পানির। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় কোম্পানির নামে বিতর্কিত মন্তব্য দেখেই মুখ খোলে ক্যাডবেরি। মূলত, ব্র্যান্ডের ভাবমূর্তির কথা ভেবেই এই কাজ করে তারা।