কলকাতা : ভুয়ো ভ্যাকসিন মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি রাজ্যের। এই মুহূর্তে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে আজ জানিয়ে দিল আদালত। তবে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় জানান, "ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে খতিয়ে দেখা যেতে পারে। রাজ্যের তদন্তে এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত।" 


বিচাপতি মুখোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, "এই ধরনের অপরাধ বিরল। এটা অত্যন্ত আশ্চর্যের ব্যাপার যে কীভাবে দেবাঞ্জন এই ঘটনা ঘটালো। সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।" 


আদালতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সওয়াল করেন, "রাজ্যপালের সঙ্গে দেবাঞ্জনের দেহরক্ষীর ছবি আছে। রাজ্যপালকে কি তাহলে কাঠগড়ায় তোলা হবে ? প্রধামন্ত্রীর সঙ্গে একটি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে এক মহিলার ছবি ছিল। মহিলা বলেছেন তিনি কখনও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেননি। প্রধানমন্ত্রীকে কি তাহলে কাঠগড়ায় তোলা হবে ? এটা কি আমাদের দেশের আইন?"


পাশাপাশি তিনি আদালতে জানান, "খুব দ্রুত ভুয়ো ভ্যাকসিন মামলায় চার্জশিট পেশ করা হবে। কয়েকটি রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। সেগুলি এলেই চার্জশিট পেশ করা হবে। ৩০ জুন পর্যন্ত ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫০ জনের বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়েছে । ২জনের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।"


প্রসঙ্গত, কসবা ও আমহার্স্টস্ট্রিট সিটি কলেজে, দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো ক্যাম্পে নকল করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ২ হাজারেরও বেশি গ্রাহক। বাগড়ি মার্কেটের যে দোকান থেকে নকল ভ্যাকসিন কেনা হয়েছিল, বুধবার সেই দোকান মালিকের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। কসবায়, ভ্যাকসিন কেনার নামে, যে সংস্থার থেকে টাকা নেওয়া হয়, জবানবন্দি নেওয়া হয় সেই সংস্থার মালিকেরও। 


এদিকে ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে আজই মামলা রুজু করতে চলেছে ইডি। দিল্লির সদর দফতর থেকে গতকালই মিলেছে সবুজ সঙ্কেত। ইডি সূত্রে খবর, ইসিআইআর রুজু করে দেবাঞ্জন দেবকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। পাশাপাশি, ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে কেউ জামিনের আবেদন করেছেন কিনা, খতিয়ে দেখা হবে তাও।