ক্যানিং : ক্যানিংয়ে যুব তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল দলেরই তিন নেতা, কর্মীকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃতদের একজন নিকারীঘাটা পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান। বাকি দু’জন তৃণমূল কর্মী। 


নিহত যুব তৃণমূল নেতার পরিবারের দাবি, ধৃতরা মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রফিক শেখের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তবে খুনের পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়েও গেলেও, অধরা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। ধৃতদের আজ আলিপুর আদালতে তোলা হলে, সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।


গত পরশু ক্যানিংয়ের নিকারীঘাটায় বাড়ির সামনেই তৃণমূল নেতাকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। এসএসকেএমে নিয়ে আসা হলে ভোররাতে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। নিহত অঞ্চল সভাপতির নাম মহরম শেখ।


আরও পড়ুন ; অটোয় চড়ে এসে বাড়ির সামনে গুলি দুষ্কৃতীদের, ক্যানিংয়ে খুন তৃণমূল নেতা 


ভোটের আগেও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন মহরম শেখ। ৬ মাসের মধ্যে ফের আক্রান্ত হন ক্যানিংয়ের সাতমুখী এলাকার শাসক শিবিরের এই নেতা। বাড়ির কাছে গুলিবিদ্ধ হন বছর সাঁইত্রিশের মহরম। হাতে ও বুকে গুলি লাগে তাঁর।


আক্রান্তের পরিবার দাবি জানান, শনিবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ অটোয় চড়ে আসা ৫-৬ জন দুষ্কৃতী বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা যুব তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে গুলি করে মহরমকে। বাড়ির সামনেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় মহরম শেখকে আনা হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে রেফার করা হয় এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তাঁর মাথায়, পেটে ও কাঁধে গুলি লাগে। স্থানীয় দুই দুষ্কৃতী রফিক শেখ ও মিঞা রউফের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ ওঠে।


অন্যদিকে যুব তৃণমূল সভাপতি ফের হামলার মুখে পড়ার নেপথ্য বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলছিল তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শওকত মোল্লা বলেছিলেন, ও আমাদের সক্রিয় নেতা। অন্য রাজনৈতিক দল সিপিএম, বিজেপি আছে। এরা করতে পারে। পুলিশ তন্য তন্য করে খুঁজছে দুষ্কৃতীদের।