শান্তনু নস্কর ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, ক্যানিং(দক্ষিণ ২৪ পরগনা) : ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটায় বাড়ির সামনেই তৃণমূল নেতাকে গুলি। এসএসকেএমে নিয়ে আসা হলে ভোররাতে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। নিহত অঞ্চল সভাপতির নাম মহরম শেখ।
প্রসঙ্গত, ভোটের আগেও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন মহরম শেখ। ৬ মাসের মধ্যে ফের আক্রান্ত হন ক্যানিংয়ের সাতমুখী এলাকার শাসক শিবিরের এই নেতা। বাড়ির কাছে গুলিবিদ্ধ হন বছর সাঁইত্রিশের মহরম। হাতে ও বুকে গুলি লাগে তাঁর।
আক্রান্তের পরিবারের দাবি, শনিবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ অটোয় চড়ে আসা ৫-৬ জন দুষ্কৃতী বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা যুব তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে গুলি করে মহরমকে। বাড়ির সামনেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় মহরম শেখকে আনা হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে রেফার করা হয় এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
অটোয় চড়ে আসা ৫-৬ জন দুষ্কৃতী এসে ঘিরে ধরে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তাঁর মাথায়, পেটে ও কাঁধে গুলি লাগে। স্থানীয় দুই দুষ্কৃতী রফিক শেখ ও মিঞা রউফের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
গুলিবিদ্ধ যুব তৃণমূল নেতার ভাই মহম্মদ শেখ বলেন, আমি দেখেছি তিনজন গুলি করেছে। দেখে চিৎকার করি। সোনার চেনটা ছিঁড়ে নিল। বাড়ির সামনে মেরেছে।
এদিকে যুব তৃণমূল সভাপতি ফের হামলার মুখে পড়ার নেপথ্য বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শওকত মোল্লা বলেন, ও আমাদের সক্রিয় নেতা। অন্য রাজনৈতিক দল সিপিএম, বিজেপি আছে। এরা করতে পারে। পুলিশ তন্য তন্য করে খুঁজছে দুষ্কৃতীদের।
কারা হামলা চালায় তা পুলিশকে জানিয়েছে আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতার পরিবার। অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে ঘটনাটি তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের বলে পাল্টা দাবি করেছে বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনা ঘিরে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে।