প্রকাশ সিনহা,কলকাতা: চিটফান্ডকাণ্ডে পিসি সরকার জুনিয়রের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান সিবিআইয়ের। ম্যাজিক দেখানোর নামে টাওয়ার গ্রুপের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ। জাদুকরের বাড়িতে সিবিআইয়ের তল্লাশি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


বেআইনি অর্থলগ্নি মামলায় তদন্তের জাল আরও ছড়াচ্ছে সিবিআই। এবার আতস কাচের তলায় জাদুকরের চিটফান্ড-যোগ। শুক্রবার পিসি সরকার জুনিয়রের মুকুন্দপুর ও বালিগঞ্জের বাড়িতে তল্লাশি চালালেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। জাদুকরকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাঁর বাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।


খতিয়ে দেখা হয় বিভিন্ন নথিপত্র।সিবিআই সূত্রে খবর, চিটফান্ড সংস্থা টাওয়ার গ্রুপের সঙ্গে পিসি সরকার জুনিয়রের কী ধরনের চুক্তি হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর্থিক লেনদেন কেন হয়েছিল, তাও তদন্তের আওতায় রয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, সূত্র মারফত জানা গেছে টাওয়ার গ্রুপের একটি রেস্তোরাঁ খোলার কথা ছিল।



সেখানে জাদু দেখানোর জন্য পিসি সরকার জুনিয়রের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল বলে দাবি করেছে সিবিআই। চুক্তি বাবদ কত টাকা নিয়েছিলেন, কোথায় সেই টাকা রয়েছে তাও জানতে চাওয়া হবে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বারাসত থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে লড়েন পি সি সরকার জুনিয়র। এবার চিটফান্ডকাণ্ডে তাঁর বাড়িতে তল্লাশির পর বিজেপির বক্তব্য, সিবিআই যে নিরপক্ষেভাবে তদন্ত করে, এটাই তার প্রমাণ। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ সম্মানীয় মানুষ, গুণী মানুষ, তদন্ত তদন্তের মত চলবে। তদন্তের গতি প্রকৃতি বৃদ্ধি হলেই তখন বলা হয় রাজনৈতিক হিংসা তদন্তের গতি শ্লথ হলে বলা হয় ‘মোদি দিদিমণি গটআপ’। আমরা চাই সত্য উদঘাটিত হোক এবং যারা প্রতারিত হয়েছে তাদের টাকা যেন তারা ফেরত পান।’’


পাল্টা কংগ্রেসের কটাক্ষ ৫-৬ বছর পরও যখন সারদা-নারদ-রোজভ্যালি, কোনও কেলেঙ্কারির তদন্তই সিবিআই শেষ করে উঠতে পারল না, তখন বোঝাই যায়, তদন্তের নামে কী চলছে।


প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ, ‘‘সিবিআই সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক অস্ত্র, হয়তো পিসি সরকারের কেউ তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন, তাই তল্লাশি। সিবিআইকে এখন কেউ বিশ্বাস করে না। আজ অবধি নারদ কেলেঙ্কারির এথিকস কমিটির মিটিং হয়নি ৷’’ সিবিআই-এর অভিযান প্রসঙ্গে পি সি সরকার জুনিয়র কোনও মন্তব্য করতে চাননি।