নয়াদিল্লি: ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দ্বাদশের রেজাল্ট। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল সিবিএসই। হলফনামায় জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের কোনও আপত্তি থাকলে, তার সুরাহা করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। ফলপ্রকাশের পরও যদি কোনও পড়ুয়া লিখিত পরীক্ষা দিতে চায়, তাহলে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। সেক্ষেত্রে ১৫ অগাস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা হবে।


প্রসঙ্গত, গত ১ জুন করোনা আবহে দ্বাদশের পরীক্ষা বাতিল করার ঘোষণা করে সিবিএসই। আগেই বাতিল হয়ে গিয়েছিল চলতি বছরের সিবিএসই দশমের পরীক্ষা। এই দুই পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পরই প্রশ্ন ওঠে তবে কী করে হবে মূল্যায়ন? কোন পথে মূল্যায়ন তা জানাতে সিবিএসইকে ২ সপ্তাহ সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই, পদ্ধতি ঠিক করতে ১২ সদস্যের কমিটি  গঠন করে সিবিএসই। 


ওই কমিটি গত সপ্তাহে জানায়, দ্বাদশের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শেষ তিন বছর অর্থাৎ, দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অভ্য়ন্তরীণ মূল্যায়নকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্রতিটি ধাপের পারফরমেন্সকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এক্ষেত্রে।৩০ শতাংশ ওয়েটেজ থাকবে দশম শ্রেণির পারফরমেন্সে। ৪০ শতাংশ ওয়েটেজ থাকবে একাদশ ও দ্বাদশের পারফরমেন্সে। দশমের ক্ষেত্রে ৫টি বিষয়ের মধ্যে সেরা তিনটি বিষয়ের নম্বর নেওয়া হবে। অন্যদিকে, দ্বাদশের ক্ষেত্রে ইউনিট, টার্ম প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার ফলও থাকবে নজরে। 


সিবিএসই পক্ষ থেকে আদালতে আগেই জানানো হয়েছিল, যদি কোনও পরীক্ষার্থী তিন বছরের এই যোগ্যতা নির্ধারণ পদ্ধতিতে সফল না হতে পারে, তাহলে তাকে বাধ্য়তামূলক পুনর্মূল্যায়ন বা কম্পার্টমেন্ট ক্যাটেগরিতে রাখা হবে। এছাড়া, সিবিএসই-র মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যদি কোনও পরীক্ষার্থী নিজের নম্বরে অখুশি থাকে, তাহলে সশরীরে পরীক্ষার বন্দোবস্তও রয়েছে সেখানে। বলা হয়, কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, দেশে করোনা সংক্রমণ কমে গেলে এবং স্কুল সময় ঠিক করলে, সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া সশরীরে পরীক্ষা দিয়ে নিজের পুনর্মূল্যায়ন করতে পারে। কবে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে? এবার সেই সময়ও নির্দিষ্ট করে আদালতে জানাল বোর্ড।