নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবারই ভারত ১০০ কোটি টিকাকরণের মাইলফলক পেরিয়েছে। এরপর দেশজুড়ে চলে উদযাপন। দেশের ১০০টি ঐতিহাসিক স্থানকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় তেরঙ্গায় রাঙিয়ে তোলা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সকলেই। যদিও এ প্রসঙ্গে আম আদমি পার্টি শুক্রবার কেন্দ্রের সমালোচনা করে বলেছে যে টিকা রফতানি না করে কিংবা দেশে ভ্যাকসিন আকাল না হলে ৬ মাস আগেই এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পারত মোদি সরকার। 


আম আদমি পার্টির সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া মোদি সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, "১০০ কোটি ভ্যাকসিনের মাইলফলক উদযাপন করার সময়, আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে যদি কেন্দ্রীয় সরকার সময়মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করত এবং জনসংযোগ কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগ না করে, ভারত যখন টিকা ঘাটতির সম্মুখীন হয় তখন ডোজ রফতানি না করত, তাহলে সারা দেশেকমপক্ষে ছ'মাস আগে এই মাইলফলক অর্জন করা যেত।" 


শুক্রবার ভ্যাকসিনেশনের সাফল্য নিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণও দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,  ‘ভারতের ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির পুরোটাই বিজ্ঞাননির্ভর।  টিকা তৈরি করা নিয়েও আমাদের সামনে ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। উত্পাদনের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের সর্বত্র টিকা পৌঁছে দেওয়ার’। মোদির কথায়,  ‘অতিমারীর শুরুতে বলা হয়েছিল, ভারতের পক্ষে এই লড়াই কঠিন হবে। বলা হয়েছিল, এত অনুশাসন এখানে কী করে পালিত হবে? সবাইকে নিয়ে নিখরচায় ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি চালু হয়েছিল। টিকা কর্মসূচিতে ভিআইপি সংস্কৃতি আসতে দেওয়া হয়নি।’






এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "টিকা আমরা এর আগে বাইরে থেকে আমদানি করতাম। তাই অতিমারীর শুরুতে অনেক প্রশ্ন ছিল। ১০০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর।আজ সবাই ভারতের শক্তির আঁচ পাচ্ছে। একশ কোটি ভ্যাকসিনেশনের অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে দেশ। এই সাফল্য গোটা দেশের, দেশবাসীকে এর জন্য অভিনন্দন। ‘কঠিন লক্ষ্য নির্ধারণ করে, তা পূরণ করার ক্ষমতা রাখে নতুন ভারত’।