নয়া দিল্লি: ভারতীয় (Indian) সংস্থার তৈরি কাশির সিরাপ (Cough Syrup) খেয়ে উজবেকিস্তানে (Uzbekistan) ১৮ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভারতও। সম্প্রতি উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানান হয়েছে যেসব শিশু ভারতের নয়ডা ভিত্তিক ম্যারিয়ন বায়োটেকের কাশির সিরাপ Doc-1 Max খেয়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল তাঁদেরই। এই ঘটনার পরই তদন্ত শুরু করেছে ভারত। আপাতত নয়ডার ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাটিতে সিরাপ তৈরির কাজ বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। যতক্ষণ না নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ওষুধ প্রস্তুতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন যে নমুনাগুলি পরীক্ষার জন্য চণ্ডীগড়ের আঞ্চলিক ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে কী রিপোর্ট আসে তা দেখার পর সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এও বলেন, এই ঘটনার পর কেন্দ্র ২৭ ডিসেম্বর থেকেই উজবেকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে সিরাপগুলি একটি নির্দিষ্ট ব্যাচের যেখানে এই 'বিষক্রিয়া' হয়েছে। সেখানে 'ইথিলিন গ্লাইকোলের' উপস্থিতি রয়েছে। যা শরীরের জন্য বিষাক্ত উপাদান। এই সিরাপটি চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বাড়িতে শিশুদের দিয়েছিলেন তাঁদের বাবা-মা। তাই ঠিক কতটা ডোজ প্রয়োজন সেই পরিমাণ সঠিকভাবে দিতে পারেননি তাঁরা। বরং বেশিই খাইয়ে দিয়েছিলেন। যার জন্য এমন প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন, জোর করে দরজা খুললেই বেরিয়ে আসবে কেউটে! বেনজির 'সিকিউরিটি' রাখলেন গৃহকর্তা
সে দেশের মন্ত্রকের তরফে জানান হয় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে ২ থেকে ৭ দিন বাড়িতে ২.৫ থেকে ৫ মিলি প্রতিদিন প্রতি ডোজে তিন থেকে চার বার এই সিরাপ দেওয়া হয়েছিল শিশুদের। যা স্বাভাবিকের ডোজের থেকে অনেকটাই বেশি। জ্বর-সর্দি-কাশি কমাতে বাবা-মায়েরা এই ওষুধটি ব্যবহার করেছিলেন।
১৮ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে ভারতও। দেশের সমস্ত ফার্মেসি থেকে Doc-1 Max ট্যাবলেট এবং সিরাপ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সময়মতো পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে এবং পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন এই মর্মে সাতজন কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে ওই সংস্থার তরফে, এমনটাও জানা গিয়েছে। পাশাপাশি বিস্তারিত রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে উজবেকিস্তানের কাছে।