কলকাতা: মাথা নিচু করলেই নাক দিয়ে ঝরঝর করে পড়ছিল জল। বহু চিকিৎসককে দেখিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। অবশেষে বিস্তর পরীক্ষার পর দেখা গেল রোগিণীর ঘিলুর আস্তরণ ফুটো হয়ে, সেই রস গড়িয়ে পড়ছে নাক দিয়ে।


চলতি বছরের জুন মাস থেকে এই সমস্যাতেই ভুগছিলেন কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা অনিতা মুখোপাধ্যায়। প্রথমে মনে হয়েছিল সর্দি। সকলেই সর্দির চিকিৎসা করে ছেড়ে দেয়। কিন্তু বহুদিন হয়ে গেলেও তা কমার নাম নেই।


অবশেষে, অনলাইনে রোগিণী দ্বারস্থ হন ইএনটি বিশেষজ্ঞ দ্বৈপায়ন মুখোপাধ্যায়র। তাঁর পরামর্শে বেশ কিছু পরীক্ষার পর জানা যায়, রোগিণীর ঘিলুর আস্তরণে ছিদ্র রয়েছে।


সেই ছিদ্র দিয়ে ঘিলুর রস গড়িয়ে নাক দিয়ে পড়ছে। রোগ সারাতে প্রয়োজন অস্ত্রপচার। এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে নাকের ভেতর দিয়ে নল ঢুকিয়ে ছিদ্র মেরামত করা হয়।


ইএনটি বিশেষজ্ঞ দ্বৈপায়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, নিউরোসর্জেন দিয়ে অস্ত্রোপচার না করে এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে নাকের ভেতর দিয়ে নল ঢুকিয়ে ছিদ্র মেরামত করা হয়। ১৫ দিন হয়েছে মহিলা সুস্থ।


অনিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, চলতি বছরের জুন মাস থেকে এই সমস্যাতেই ভুগছিলেন তিনি। প্রথমে মনে হয়েছিল সর্দি। বহু চিকিৎসককে দেখিয়েও মেলেনি সুরাহা।