কলকাতা: ডালের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের। আড়তদারদের মজুত শস্যের তথ্য প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে। এই নিয়ম বলবৎ করতে হয় সম্প্রতি কেন্দ্র একটি বৈঠক করে। ক্রেতা ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের সেক্রেটারি নিধি খারে সম্প্রতি রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করেন। সেখানে সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপের ব্যাপারে তথ্য চাওয়া হয়। বুধবার বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে,প্রতি সপ্তাহে আড়তদারদের মজুত শস্যের তথ্য রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে। এই নিয়ম কার্যকর করার ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে।


কী কী করতে হবে রাজ্য সরকারকে ?



  • বিভিন্ন শিল্পকেন্দ্র ও আড়তে মজুত ডালশস্যের পরিমাণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। 

  • এই ব্যাপারে নির্দেশ পাঠাতে হবে সংশ্লিষ্ট আড়তদার ও কর্তৃপক্ষদের।

  • স্টক ডিসক্লোজার পোর্টালে সেই তথ্য আপলোড করতে হবে।

  • রাজ্য সরকারের তরফে নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে। 

  • কোনও আড়তদার বা কর্তৃপক্ষ ভুল তথ্য আপলোড করলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।

  • এছাড়াও, দামের উপরেও নজর রাখতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। দাম কতটা বাড়ছে বা কমছে সেই বিষয়ে নিয়মিত তথ্য রাখতে হবে।


শুধু মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই পদক্ষেপ?



  • দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্যগুলির ভূমিকা প্রধান। তাই রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের এই বৈঠক।

  • তবে শুধু দাম নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও মজুত শস্যের উপর নজর রাখাও জরুরি বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। 

  • কোনও আড়তদার বা শস্য মজুত করে এমন সংস্থার কর্তৃপক্ষ যদি ভুল তথ্য দিচ্ছে কি না সেদিকে নজরদারি করতে হবে।


১৫ এপ্রিল থেকে…


স্টক ডিসক্লোজার পোর্টালকেও ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। নজরদারির আওতায় থাকবে অড়হর, মুগ, মুসুর, মটর ইত্যাদি ডাল রয়েছে। বিদেশ থেকে ডালশস্য আমদানি করে এমন সংস্থাদেরও মজুত ডালশস্যের তথ্য জানাতে হবে। বিদেশ থেকে বর্তমানে গোটা মটর ডাল আমদানি করা হয়। সেগুলিও নজরদারির আওতায় আসবে‌। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে এই আমদানির আনুমতি দেয় কেন্দ্র। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এই আমদানি চলবে। তার মধ্যে আমদানিকৃত সব শস্যেরই হিসেব রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। 


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন - Health News: খাবারেই শুরু, খাবারেই শেষ ? জীবনের সিংহভাগ রোগের নেপথ্যে কি খাবার ?